Zubeen Garg: জুবিন গর্গের মৃত্যুতে অভিযুক্ত ৫ জনের ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে গুয়াহাটির স্থানীয় আদালত। এই ৫ অভিযুক্তর সিআইডি হেফাজত শেষ হওয়ার পরই তাঁদের ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। এই ৫ অভিযুক্তর মধ্যে রয়েছেন, নর্থ-ইস্ট ফেস্টিভ্যাল আয়োজক শ্যামকুণ্ডু মহান্ত, জুবিনের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা, গায়কের তুতো ভাই এবং পুলিশ আধিকারিক সন্দীপন গর্গ এবং তাঁর দুই দেহরক্ষী নন্দেশ্বর বোরা ও পরেশ বৈশ্য। জানা গিয়েছে, পরবর্তীতে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে অভিযুক্তদের আদালতে পেশ করা হবে।
অসমের বক্সা জেলার নবনির্মিত জেলে রাখা হবে এই ৫ জনকে। গুয়াহাটি থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এই জেল। অভিযুক্তদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। কারণ বিচারাধীন বন্দী কিংবা অন্যান্য আসামীদের মধ্যে থাকতে পারেন গায়কের ভক্ত-অনুরাগীরা। আর জুবিনের মৃত্যুর পর, তাঁর অনুরাগীরা ঠিক কতটা ক্ষিপ্ত, তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত সন্দেহ এ যাবৎ যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের নাগাল পেলে জুবিনের ফ্যানেরা আবেগ বশবর্তী হয়ে ভয়ঙ্কর কিছু ঘটিয়ে ফেলতে পারেন, এই সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে।
স্পেশ্যাল ডিজিপি মুন্না প্রসাদ গুপ্তার নেতৃত্বে তৈরি হয়েছিল একটি স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম। এই এসআইটি- র তদন্তের কারণেই উল্লিখিত ৫ অভিযুক্তকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছিল। আরও ২ অভিযুক্ত, জুবিন গর্গের ব্যান্ডের সদস্য শেখর জ্যোতি গোস্বামী এবং সহ-গায়ক অমৃতপ্রভ মহান্ত এখনও সিআইডি হেফাজতেই রয়েছে। ১৪ দিনের জন্য সিআইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এই ২ জনকে। ১৭ অক্টোবর তাঁদের আদালতে পেশ করা হবে। অমৃতপ্রভ মহান্তর বিরুদ্ধে একটি আর্থিক মামলাও চলছে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে জানা গিয়েছে, জুবিন গর্গের মৃত্যুর তদন্তে আরও ২ অহমিয়া প্রবাসী, যাঁরা সেদিন সিঙ্গাপুরের ইয়ট পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের অসম সিআইডি- র সামনে পেশ করা হয়েছে। এ যাবৎ ৭ জন অহমিয়া প্রবাসীকে জুবিন গর্গের মৃত্যুর তদন্তে অসম সিআইডি- র সামনে পেশ করা হয়েছে। এরা সকলেই উপস্থিত ছিলেন ইয়ট পার্টিতে। মোট ১১ জনকে সমন পাঠানো হয়েছিল। জুবিনের ব্যান্ডের সদস্য শেখর জ্যোতি গোস্বামী, যিনি ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন, তিনি এর আগে অভিযোগ করেছিলেন সিঙ্গাপুরে বিষপ্রয়োগ করা হয়েছিল গায়কের উপর। আর সেই কারণেই নাকি মৃত্যু হয়েছে গায়কের।