Zubeen Garg: আশঙ্কা ছিলই। আর সেটাই সত্যি হল। অসমের বাকসা জেলার জেলে জুবিন গর্গের মৃত্যু তদন্তে গ্রেফতার করা ৫ অভিযুক্তকে নিয়ে যাওয়ার সময় তৈরি হল চুরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি। জুবিনের অকাল প্রয়াণের পর থেকেই ক্ষিপ্ত গায়কের ভক্ত, অনুরাগীরা। এই ৫ অভিযুক্তকে জেলে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে সমস্যা হতে পারে সেই আশঙ্কা আগেই করা হয়েছিল। সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে। অভিযোগ, বাকসা জেলের বাইরে অভিযুক্তদের গাড়ি দেখতে পেয়েই চটি, পাথর ছুড়তে শুরু করেন উন্মত্ত জনতার একাংশ। জেলের ভিতরে ঢুকে পড়ার চেষ্টাও করেন কিছু মানুষ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর মাসে আকস্মিক মৃত্যু হয়েছে গায়ক জুবিন গর্গের। ঘটনার দিন সিঙ্গাপুরে ছিলেন জুবিন। একটি ইয়ট পার্টি চলছিল। আর সেখানেই উপস্থিত ছিলেন এই ৫ অহমিয়া প্রবাসী। ওই পার্টিতে উপস্থিত থাকা মোট ১১ জন অহমিয়া প্রবাসীকেই সমন পাঠিয়েছিল অসম পুলিশের সিআইডি টিম। তাঁদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৭ জন হাজির হয়েছেন তদন্তকারীদের সামনে। ২ জনকে সম্প্রতি পেশ করা হয়েছে অসম সিআইডি- র তদন্তকারী আধিকারিকদের সামনে। বাকি যাঁরা হাজিরা দেননি প্রথমবারের সমনে, তাঁদের পুনরায় সমন পাঠানো হয়েছে। অসমের বাকসা জেলায় মুশালপুরের কাছে নতুন একটি জেল তৈরি হয়েছে। এটি একটি জেলা কারাগার। এই জেলেই আপাতত থাকবে ৫ অভিযুক্ত।
যে ৫ অভিযুক্তকে আজ বাকসা জেলার জেলে স্থানান্তর করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, নর্থ-ইস্ট ফেস্টিভ্যাল আয়োজক শ্যামকুণ্ডু মহান্ত, জুবিনের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা, গায়কের তুতো ভাই এবং পুলিশ আধিকারিক সন্দীপন গর্গ এবং তাঁর দুই দেহরক্ষী নন্দেশ্বর বোরা ও পরেশ বৈশ্য। এই ৫ অভিযুক্তর সিআইডি হেফাজত শেষ হওয়ার পরই তাঁদের ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, পরবর্তীতে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে অভিযুক্তদের আদালতে পেশ করা হবে।
এই ৫ অভিযুক্তর সিআইডি হেফাজত শেষ হওয়ার পর তাঁদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে একই সঙ্গে তাঁদের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল গুয়াহাটির ওই স্থানীয় আদালত। আর সেই কারণেই স্থির হয়েছিল যে জেলে কয়েদি কম সেখানেই এঁদের পাঠানো হবে। কারণ কয়েদিদের মধ্যে জুবিন গর্গের ভক্ত-অনুরাগীরা থাকতে পারে। আবেগের বশে তারা সাংঘাতিক কাণ্ড ঘটাতে পারে। সেই জন্যই বেছে নেওয়া হয়েছে কম কয়েদি থাকা বাকসা জেল। সূত্রের খবর, কয়েক মাস আগেই এই জেলের উদ্বোধন হয়েছে। তাই খুব বেশি কয়েদি নেই এই জেলে।