গুয়াহাটি: প্রখ্যাত শিল্পী জুবিন গর্গের মৃত্যুতে শোকের ছায়া গোটা দেশে। প্রথমে জানা গিয়েছিল, স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে মারা গিয়েছেন তিনি। এখন জানা যাচ্ছে, লাইফ জ্যাকেট পরে সাঁতার কাটতে নেমেছিলেন জুবিন। এবার মুখ খুললেন জুবিনের স্ত্রী গরিমা সাইকিয়া গর্গ। জানালেন, Seizure Attack হয়েছিল জুবিনের। (Zubeen Garg Seizure Attack)
টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই তথ্য সামনে এনেছেন গরিমা। স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে জুবিন মারা গিয়েছেন বলে যে তথ্য সামনে আসে, তা খারিজ করে দেন তিনি। বলেন, “জুবিন সাত-আটজনের সঙ্গে ইয়টে ওই দ্বীপে গিয়ছিল। ড্রামার শেখর ছিল, সিদ্ধার্থ ছিল সঙ্গে। একসঙ্গে সাঁতার কাটে ওরা, আবার উপকূলে ইয়টে ফিরেও আসে। সকলে লাইফ জ্যাকেট পরেছিল। কিন্তু জুবিন আবারও সাঁতার কাটতে গিয়েছিল। সেই সময় Seizure Attack হয় ওর। আগেও ওর একাধিক বার Seizure Attack হয়েছিল, মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছিল। অস্বাভিকতা দেখে অন্যরা ওকে উদ্ধার করে আনে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে দু’ঘণ্টা ভর্তি ছিল ও।” (Zubeen Garg)
সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতাল জানিয়েছে, দুপুর ২টো বেজে ৩০ মিনিটে মারা যান জুবিন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। যে Seizure Attack-এর কথা হচ্ছে, সেটি আসলে কী? চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী, মস্তিষ্কের নিউরনের আকস্মিক ও অস্বাভিক বৈদ্যুতিক কার্যকলাপের ফলে শরীরে যে খিঁচুনি হয়। সমীক্ষা বলছে, পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার অন্তত ১০ শতাংশের জীবনে একবার না একবার এমন অনুভূতি হয়েছে। কখনও শরীরে একদিকে এর প্রভাব পড়ে, কখনও আবার গোটা শরীরেই প্রভাব পড়ে।
Seizure Attack-এর কিছু উপসর্গও রয়েছে, তবে তা সমস্যা কতটা গুরুতর, তার উপর নির্ভর করে। যেমন- জ্ঞান হারানো, খিঁচুনি, চোখ উল্টে যায়, দাঁতে দাঁত লেগে যায়, মুখ থেকে লালা পড়ে, একই সঙ্গে নানা অনুভূতি গ্রাস করে, আপনাআপনি মুখ থেকে শব্দ বেরোয়, বার বার তার পুনরাবৃত্তিও ঘটে। শারীরিক অসুস্থতা, আঘাত, রক্তে শর্করার ওঠাপড়া থেকে খিঁচুনি হতে পারে, আবার হঠাৎও এমন ঘটতে পারে।
সাধারণ পরিস্থিতির তুলনায়, গাড়ি চালানোর সময় বা জলে নামার পর Seizure Attack হলে, তা আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে। বিশেষ করে জলে সাঁতার কাটার সময় Seizure Attack হলে জ্ঞান হারাতে পারেন রোগী, শরীরের উপর আর নিয়ন্ত্রণ থাকে না। ফলে ভাল সাঁতারু হলেও ডুবে মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়।