কলকাতা : ফের সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল এক ভিডিও ঘিরে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, এক মহিলা কাঁদছেন, কারণ তাঁর চুল কেটে নিচ্ছে এক পুরুষ ! ঘটনাটা ঘটার সময় কিছু মানুষ ওই ব্যক্তির কাছেও যায়। কেউ কেউ সেই ক্লিপটি শেয়ার করে দাবি করেছেন, ভিডিওটি পশ্চিমবঙ্গের। যেখানে একজন মুসলমান পুরুষ জনসমক্ষে এক হিন্দু মহিলার তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে চুল কেটে নিচ্ছে। কেউ কেউ আবার মন্তব্য করছেন, ভাড়া না দেওয়ায় মহিলাকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। যদিও ইন্ডিয়া টুডের ফ্যাক্ট চেকে উঠে এসেছে, ভিডিওটি ২০২৪ সালের। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ঝগড়ার পরে ক্ষুব্ধ স্বামী তাঁর স্ত্রীর চুল কেটে নিচ্ছেন।
অনুসন্ধান-
ভাইরাল ভিডিও থেকে কি ফ্রেমের রিভার্স সার্চ করে ইন্ডিয়া টুডে ফ্যাক্ট চেক ডেস্ক। যাতে বেরিয়ে আসে, ফেব্রুয়ারি মাসে একই ভিডিও ইউটিউব শর্টস হিসাবে শেয়ার করা হয়েছিল। "City Voice 1986" নামে আরও একটি ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে শেয়ার করা হয়েছিল ভিডিওটি। এই চ্যানেলে প্রশ্ন তুলে এই ভিডিওটি শেয়ার করেছিল গত বছর ১৫ সেপ্টেম্বর।
এরপর ইউটিউব চ্যানেলের নাম থাকা একই নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টও পাওয়া যায়। যেখানে ভাইরাল ভিডিওরর একটি বৃহত্তর সংস্করণ পাওয়া যায়। ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত আরও দু'টি ভিডিও। অ্যাকাউন্টটি মহম্মদ আইর খানের। যিনি ঢাকার গুলশন এলাকার বাসিন্দা।
এই পোস্টগুলির ক্যাপশনে লেখা, এই ভিডিওটি এক পুরুষ তাঁর স্ত্রীকে রাস্তায় মারছিল। একটি ভিডিওতে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বাংলায় বলতে শোনা যায়, এটা তার পারিবারিক সমস্যা। স্ত্রীর সঙ্গে এরকম ব্যবহার করায় পরে ওই ব্যক্তিকেই কিছু লোক পেটায় ।
এনিয়ে সত্য অনুসন্ধানে ইন্ডিয়া টুডের তরফে বাংলাদেশের সাংবাদিক সঞ্জয় অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। যিনি এই ঘটনাস্থলটিকে ঢাকার এয়ারপোর্ট রেল স্টেশন এলাকার ভিডিও বলে চিহ্নিত করেছেন। গুগল ম্যাপেও এয়ারপোর্ট রেল স্টেশনের ফটো ও ভিডিও পাওয়া যায়। স্টেশনের কাছে রয়েছে একটি শৌচালয় ও একটি বিল্ডিং। ভাইরাল ভিডিওয় যার সবকিছুই দেখা যায়।
অর্থাৎ, এই ভাইরাল ভিডিও পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক অশান্তির কোনও খবর তুলে ধরে না।
ডিসক্লেমার : এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়া টুডে এবং শক্তি কালেক্টিভের (Fact Check : Fact Check: Man chopping wife's hair in Dhaka FALSELY viral as communal incident in Bengal) অংশ হিসাবে প্রতিবেদনটির অনুবাদ করেছে এবিপি লাইভ বাংলা।