কলকাতা: করোনা আবহে দীর্ঘদিন চলছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম? বাড়িতে বসেই কম্পিউটারে সেরে নিচ্ছেন অফিসের যাবতীয় কাজ, মিটিং? অনেকেই অবশ্য ল্যাপটপ নিয়ে বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন। ইন্টারনেটের সমস্যা থেকে ভারি কাজ করার জন্য ল্যাপটপ হ্যাঙ, দোকানে না যেতে পারার কারণে অনেকেরই বিঘ্ন ঘটছে কাজে। সহজেই জেনে নিন ল্যাপটপে হওয়া সাধারণ সমস্যাগুলো ও তার প্রতিকার।


নিয়মিত রিস্টার্ট

সারাদিন কাজ করার পর ল্যাপটপটা অন্তত একবার সুইচট অফ করা প্রয়োজন। উইনডোজ ১০-এ ল্যাপটপ নিজে থেকেই স্লিপ মোডে চলে যায়। ফলে অনেকেই রিস্টার্ট করতে ভুলে যান। তবে সারাদিন কাজ করার পর ল্যাপটপকে কিছুটা বিশ্রাম না দিতে সেটার ওপর চাপ পড়ে। ফলে হ্যাঙ করা থেকে শুরু করে স্লো হয়ে যাওয়ার মত সমস্যাও দেখা যায়।

ডাউনলোড অ্যান্ড আপডেট

সময়মত ল্যাপটপের সফটওয়্যার আপডেট করা জরুরি। অপারেটিং সিস্টেম-এর অনেক রকম সমস্যা আপডেট করালে মিটে যায়। বিশেষত উইন্ডোজ ১০-এর ক্ষেত্রে সফটওয়্যার আপডেট জরুরি। নাহলে অনেক সময় কাজ করা বন্ধ করে দেয় মেশিন।

অপ্রয়োজনীয় ডেটা ডিলিট

ল্যাপটপ সঠিকভাবে কাজ করার জন্য কিছুটা স্পেস খালি থাকা জরুরি। তবেই সঠিক স্পিডে কাজ করা যায়। রোজ আমাদের বিভিন্ন কাজের ফলে অনেক অপ্রয়োজনীয় ডেটা সেভ হয়ে থাকে ল্যপটপে। আমাদের অজান্তেই সেগুলি ল্যাপটপের স্পেস নিয়ে নেয়। তাই নিয়মিত কাজ শেষের আগে উচিত অপ্রয়োজনীর সমস্ত ডেটা ডিলিট করে দেওয়া। এতে স্পিড বাড়ে ল্যাপটপের।

আপগ্রেড

ল্যাপটপে সাধারণত অন্তত ৪ জিবি র‍্যাম থাকে। কিন্তু মাল্টিটাস্টিং-এর জন্য এই র‍্যামটিও উপযুক্ত নয়। তাই ল্যাপটপের র‍্যাম নিয়মিত আপডেট করা জরুরি। দ্বিতীয় স্লটে ৮ জিবি র‍্যাম আপগ্রেড করা নেওয়া জরুরি।

সিস্টেম মেনটেনান্স

উইন্ডোজ ১০-এ সিস্টেম মেনটেনেন্সের সুবিধা দেওয়া আছে। এতে ল্যাপটপের স্পিড বাড়ে। নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে সেই সুবিধাটিও।