জয়পুর: বিয়ের সময় পাত্রীপক্ষের কাছ থেকে মোটা টাকা পণ আদায়, ভারতের বহু পরিবারে এখনও রমরমিয়ে চলছে এই বেআইনি রীতি। কনেপক্ষের অর্থনৈতিক অবস্থার কথা তোয়াক্কা না করেই চলে পণ আদায়। আইনবিরুদ্ধ জেনেও এই প্রথা মেনে নেয় অনেকে। কিন্তু এর ঠিক বিপরীত ছবি দেখা গেল জয়পুরের একটি পরিবারে। বিয়ের মণ্ডপে পণ নিতে অস্বীকার করে পাত্র। শেষমেশ নিয়ম রক্ষার্থে মাত্র ১১ টাকা পণ নিয়ে বিয়ে করেন তিনি।


বিএসএফে কর্মরত জিতেন্দ্র সিংহ নামে এক ব্যক্তি বরযাত্রী নিয়ে পৌঁছায় বিয়ের আসরে। যখন পাত্রের হাতে পণ তুলে দেওয়ার সময় আসে, তখন তাঁকে এগিয়ে দেওয়া হয় ১১ লাখ টাকা। কিন্তু পণের টাকা সকলে ফিরিয়ে দেন। সকলে মনে করে, পাত্রের দাবি বোধ হয় আরও বেশি। এরপরই মেয়ের বাড়িতে হইচই পড়ে যায়। কিন্তু সকলকে অবাক করে দিয়ে পাত্র জানান, তিনি পণ নেবেন না।
নিয়ম যদি মানতেই হয়, তাহলে ১১টাকাই যথেষ্ট।
বিএসএফে কর্মরত ওই ব্যক্তি জানান, তিনি যখন জানতে পারেন পাত্রী এলএলএম পাশ করে পিএইচডি করছে, তখনই সিদ্ধান্ত নেন, সেটাই তাঁর কাছে যথেষ্ট। পণ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত তখনই নেওয়া। এ-ব্যাপারে পরিবারকে পাশে পেয়েছিলেন বলেও দাবি পাত্রের।
জিতেন্দ্র বলেন, যদি তাঁর স্ত্রী পরবর্তীতে বিচারক হয়ে মানুষকে ন্যায় দিতে পারেন, সেটাই মহৎ ঘটনা হবে।