মানবতার অনন্য নজির গড়লেন জব্বলপুরের এই চিকিৎসক
সমীরণের এই সাহসী সিদ্ধান্ত সমাজে নতুন অনুপ্রেরণার সঞ্চার করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appমীনার পরিবার বলেছে, গ্রামেগঞ্জে এখনও জাতপাত মেনে চলা হয়। কিন্তু মীনা শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী হওয়ায় তার বিয়ে দেওয়া খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। অনেকর সমন্ধই এসেছিল। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
এই বিয়েতে দারুন খুশি মীনা। তিনি বলেছেন, দৃষ্টিশক্তিহীন হওয়ায় তাঁর বিয়ে হচ্ছিল না। এরইমধ্যে সমীরণ বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসেন। বাবা-মা ওই প্রস্তাব জানাতেই তিনি রাজি হন।
কিন্তু নিজের প্রেমকে বিয়ের পিঁড়িতে টেনে নিয়ে যাওয়ার কাজটা সহজ ছিল না। সমীরণ প্রথমে নিজের পরিবারের সবাইকে রাজি করান। এরপর মীনার বাড়ির লোকের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেন। অনেক ভাবনাচিন্তা ও চিকিত্সকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পর জাতপাতের উর্দ্ধে উঠে পটেল পরিবার সমীরণের সঙ্গে মীনার বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হয়।
এক বছর আগে সমীরণের সঙ্গে পরিচয় হয় মীনার। জব্বলপুরের বরবাটি গ্রামের বাসিন্দা মীনা। ওই গ্রামেই সমীরণের ক্লিনিক রয়েছে। এক বছর আগে মীনাদের বাড়িতে কারুর চিকিত্সার জন্য গিয়েছিলেন সমীরণ। সেখানেই মীনাকে প্রথম দেখেন তিনি। আর প্রথম দেখাতেই প্রেম। মীনা ভালো লেগে গিয়েছিল সমীরণের।
মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে মানবতার এক উজ্জ্বল নজির। পেশায় আয়ুর্বেদ চিকিত্সক সমীরণ বালা দৃষ্টিশক্তিহীন মীনাকে বিয়ে করে মানবতার এই দৃষ্টান্ত গড়লেন। শুধু তাই নয়, বিয়ে সারতে মীনাকে কোলে তুলে কোর্টে এলেন সমীরণ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -