পুলওয়ামা হামলার ঠিক ২ দিন পরই পাক-সীমান্ত লাগোয়া পোখরানে সামরিক মহড়া ভারতীয় বায়ুসেনার
শনিবার পাকিস্তান লাগোয়া রাজস্থানের পোখরানে বড়মাপের সামরিক মহড়া সেরা রাখল ভারতীয় বায়ুসেনা। সব ছবি সৌজন্য- ভারতীয় বায়ুসেনা
উপস্থিত ছিলেন বায়ুসেনার সাম্মানিক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকর।
উপস্থিত ছিলেন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শান বি এস ধানোয়া।
দিনের পাশাপাশি রাতেও চলে মহড়া।
দেখুন আরও ছবি...
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, হামলার প্রত্যাঘাত করার জন্য দেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে পূ্র্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।
ছিল এমআই ১৭-ভি৫, এমআই-৩৫ সহ একাধিক প্রথম সারির চপার।
গত বৃহস্পতিবার পুলওয়ামার অবন্তীপোরায় সিআরপি-র কনভয়ে বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়ে নিজেকে উড়িয়ে দেয় জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি।
ছিল বায়ুসেনার পণ্যবাহী আইএল-৭৮, সি-১৩০ জে সুপার হারকিউলিস, এএন-৩২।
পুলওয়ামায় জঙ্গিহানার ঠিক ২ দিন পর এই ধরনের মহড়া বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
দিনভর আকাশে বিভিন্ন লক্ষ্যভেদের মতো হরেক কসরত প্রদর্শন করে।
ছিল ওয়ারবোর্ন আর্লি ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম (অ্যাওয়াক্স) বিমান।
ছিল-- সুখোই এসইউ-৩০ এমকেআই, জাগুয়ার, মিরাজ-২০০০, মিগ-২১ বাইসন, মিগ-২৭, মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান।
মোট ১৩৭টি যুদ্ধবিমান অংশগ্রহণ করেছিল ‘বায়ু শক্তি’ মহড়ায়।
মহড়ায় অংশগ্রহণ করেছিল বায়ুসেনার মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান।
এই মহড়ায় বায়ুসেনার প্রায় সব ধরনের যুদ্ধবিমান ও সামরিক চপার অংশগ্রহণ করেছিল।
পরীক্ষা করা হয় আকাশ থেকে আকাশ ‘অস্ত্র’ ক্ষেপণাস্ত্র।
অংশ নিয়েছিল বায়ুসেনার ‘গরুড়’ কম্যান্ডো-বাহিনী। তারা বিভিন্ন কসরত দেখায়।
পরীক্ষা করা হয় দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভূমি থেকে আকাশ ‘আকাশ’ ক্ষেপণাস্ত্র।
ছিল অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার (এএলএইচ) ধ্রুব।
মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছিল ‘বায়ু শক্তি’। মহড়ায় অংশ নিয়েছিল দেশে তৈরি যুদ্ধবিমান লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট (এলসিএ) তেজস।