জিএসএলভি-মার্ক থ্রি-ডি ১ দিয়ে মহাকাশ অভিযানের নতুন অধ্যায়ের সূচনা ভারতের
মহাকাশে মানুষ পাঠানোর পক্ষে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এ জন্য জরুরি প্রযুক্তি তৈরি করে ফেলেছে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা, তৈরি স্পেস স্যুটও।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএর সফল উৎক্ষেপণ হলে প্রমাণ হয়ে যাবে, ইসরো এত ভারী রকেট নিজেদের জোরেই মহাকাশে পাঠাতে পারে।
সোমবার বিকেল ৫টা ২৮ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন স্পেস সেন্টার থেকে আকাশে পাড়ি দেয় এই দৈত্যাকার রকেটটি।
এই মিশন সফল করতে কেন্দ্রের কাছ থেকে ১২,৫০০ কোটি টাকা চেয়েছে ইসরো। তা বরাদ্দ হলে ৭ বছরের মধ্যে ভারতীয় নভশ্চররা প্রকৃত অর্থেই আকাশ ছুঁতে পারবেন।
এর থেকে উৎক্ষিপ্ত হতে পারে ৪০০০ কেজির বেশি ওজনের উপগ্রহ। রকেটের মূল তিনটি জিনিস- সলিড এস ২০০ স্টেজ, লিকুইড এল ১১০ স্টেজ ও সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী সি ২৫ ক্রায়োজিনিক আপার স্টেজ- সবই এ দেশে তৈরি।
এই বিশাল রকেটে করে এদিন মহাকাশে পাঠানো হল যোগাযোগব্যবস্থার উপগ্রহ জিস্যাট-১৯ উপগ্রহ। যার ওজন ৩,১৩৬ কেজি। আয়ু ১০ বছর।
৩০০ কোটি টাকার এই রকেট তৈরিতে সময় লেগেছে ১৫ বছরের বেশি। বিজ্ঞানীরা বলেন, মনস্টার রকেট বা রাক্ষুসে রকেট, আসল নাম অবশ্য 'ফ্যাট বয়'।
উচ্চতা ৪৩.৪৩ মিটার বা প্রায় ১৩ তলা বাড়ির সমান। ওজনে ৬৪০ টন। ইসরোর মতে, রকেটটি ২০০টি পূর্ণবয়স্ক এশীয় হাতির ওজন ধরে বা ৫টি জাম্বো জেটের।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইসরো, জিএসএলভি মার্ক থ্রি-র মতো রকেট বানিয়ে ফেলায়, বেশি ওজনের উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানোর ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের লঞ্চিং ভেহিকলের উপর ভারতের নির্ভরতা কমবে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -