কর্ণাটক সঙ্কট: ‘ঐক্যবদ্ধ আছি, বিধানসভায় যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই’, জানিয়ে দিলেন বিদ্রোহীরা

শীর্ষ আদালত এ-ও জানিয়ে দিল, সময়ের-মধ্যেই স্পিকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বিদ্রোহীদের ইস্তফা নিয়ে। তবে, সেই সময় ঠিক করবেন স্পিকারই।

ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ Last Updated: 17 Jul 2019 01:10 PM


মুম্বই থেকে প্রতিক্রিয়া দেন বিদ্রোহী বিধায়করা। শীর্ষ আদালতের রায়ে উচ্ছ্বসীত বিধায়করা জানান, তাঁরা সকলেই ঐক্যবদ্ধ আছেন। নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড়। তাঁরা সাফ জানিয়ে দেন, বিধানসভায় যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।


সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে কোনওপ্রকার প্রতিক্রিয়া দিতে অস্বীকার করেন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী।


বিজেপি নেতা জগদীশ শেট্টার বলেন, কুমারস্বামীর জন্য রাজ্যে নৈরাজ্য চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর উচিত আস্থাভোটের অপেক্ষা না করে অবিলম্বে পদত্যাগ করা।




কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বি এস ইয়েদুরাপ্পা সুপ্রিম কোর্টের রায়কে বিদ্রোহীদের নৈতিক জয় হিসেবে অভিহীত করেন। তিনি বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় স্বাভাবিকভাবেই মুখ্যমন্ত্রী আগামীকাল পদত্যাগ করবেন। তিনি আরও বলেন, এটা সংবিধান ও গণতন্ত্রের জয়। সাংবিধানিক গণতন্ত্রে এই রায় একটা নতুন দিশা দেবে।


সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে কর্ণাটকের স্পিকার কে আর রমেশ কুমার জানান, আমি আদালতের রায়কে সম্মান ও স্বাগত জানাচ্ছি। আদালত আমার ওপর কিছু অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়েছে। আমি তা সাংবিধানিক নীতি মেনেই সম্পন্ন করব।
স্পিকারের হয়ে সওয়াল করা আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি দাবি করেন, গত ১১ জুলাই ইস্তফাপত্র পেশ করেন বিদ্রোহী বিধায়করা। কিন্তু তাঁর আগেই তাঁদের অযোগ্যতা-আর্জি দায়ের হয় বিধানসভায়। বলেন, ইস্তফা দিলেই যে বিধায়ক-পদ বাতিল করার প্রক্রিয়া স্থগিত হবে, এটা কোনও নিয়ম হতে পারে না। তিনি এ-ও জানান, স্পিকারকে কোনও সময়সীমা বেঁধে দিতে পারে না শীর্ষ আদালত।


বিদ্রোহী বিধায়কদের হয়ে সওয়াল করা আইনজীবী মুকুল রোহতগি বলেন, এখানে সরকার বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। স্পিকার সেই সরকার চালানোর চেষ্টা করছেন। তাঁর অভিযোগ, বিদ্রোহীদের ইস্তফা গ্রহণ না করে স্পিকার পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করে চলেছেন। এইভাবে, বিধায়কদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। তিনি যোগ করেন, স্পিকারের দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা না করে তিনি নিয়ম-লঙ্ঘন করছিলেন।

প্রেক্ষাপট

নয়াদিল্লি ও বেঙ্গালুরু: কর্ণাটকে রাজনৈতিক সঙ্কট মামলায় রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, ১৫ বিদ্রোহী বিধায়কের ভাগ্য নির্ধারিত হবে বিধায়সভায়। স্পিকারকেই একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদিও, সময়সীমা নির্ধারণের বিষয়টি স্পিকারের হাতেই ছেড়ে দিল বেঞ্চ।
সম্প্রতি, স্পিকার তাঁদের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করছেন না অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন  কং-জেডিএস-এর ১৫ জন বিদ্রোহী বিধায়ক। শীর্ষ আদালতের কাছে তাঁদের আবেদন, ইস্তফাপত্র গ্রহণ করতে স্পিকারকে নির্দেশ দেওয়া হোক।






 


 


 


এদিন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ জানায়, বিদ্রোহী বিধায়কদের বিধানসভার কাজকর্মে হাজির হতে বাধ্য করা যাবে না। এমনকী, সরকারের আস্থাভোটেও অংশ নিতে বাধ্য করা যাবে না তাঁদের।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় শাসক জেডিএস-কংগ্রেস জোটের কাছে বড় ধাক্কা। কারণ, এই ডামাডোলের মধ্যে চার বিদ্রোহী বিধায়ক নিজেদের ইস্তফাপত্র প্রত্যাহার করেছেন। যা মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীকে বৃহস্পতিবারের আস্থাভোটের আগে সামান্য হলেও আশার কিরণ দেখিয়েছিল।
এদিন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, রায় দেওয়ার সময় সাংবিধানিক ভারসাম্য বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিচারপতিরা বলেন, এই মামলায় উঠে আসা বাকি বিষয়গুলির মীমাংসা পরে হবে।
আদালতের এই রায়ের প্রেক্ষিতে কর্ণাটক বিধানসভার স্পিকার কে আর রমেশ কুমার জানান, সুপ্রিম কোর্ট তাঁর ওপর অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়েছে। তিনি সাংবিধানিক নীতি মেনেই সব দায়িত্ব পালন করবেন।






 


 


 


এদিকে, শীর্ষ আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়ে বিজেপি দাবি করেছে, এই রায় বিদ্রোহী বিধায়কদের নৈতিক জয়। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বি এস ইয়েদুরাপ্পা বলেন, এখন নিশ্চিত যে সরকারের পতন হচ্ছে। কারণ, সরকারের হাতে প্রয়োজনীয় সংখ্যা নেই।

- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -

TRENDING NOW

© Copyright@2024.ABP Network Private Limited. All rights reserved.