নিপা ভাইরাস: কীভাবে ছড়ায়, উপসর্গ কী, কোন খাবার খাবেন না,তথ্য জেনে সাবধান হন
এইমুহূর্তে কেরল যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে, সেটাও বাতিল করা উচিত। এর আগে ২০০১ সালে এই রোগ শিলিগুড়িতে হয়। সেসময় বহুলোকের মৃত্যু হয় এই ভাইরাসে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appজল যা এই ভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছে সেখান থেকেও ছড়াতে পারে এই ভাইরাস।
নিপা ভাইরাস বা নিভ ঠিক কী ধরনের ভাইরাস। এই ভাইরাসের সঙ্গে মানুষের তেমন পরিচিতিও নেই। হু বা ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গ্যানাইজেশনের তরফে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এটা একটি নতুন ধরনের ভাইরাস। মানুষ বা পশু দুজনের মধ্যেই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস।
গাছ থেকে পড়ে যাওয়া আধ খাওয়া ফল একেবারেই খাবেন না। ফল যেগুলো না খাওয়াই ভাল এখন, তারমধ্যে রয়েছে আম, কলা, খেজুর, অ্যাভোকাডো, সবেদা। যেকোনও রসালো ফল যার খোসা পাতলা, সেটাই বাদুর খেতে বা ছুঁতে পারে। সেই ফল খেলেই নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অব্যশম্ভাবী।
বাদুর যেখানে বসে, বা তার লালা পড়েছে, সেখান থেকে দূরেই থাকুন
খেজুরের রস, যা বাদুরের সংস্পর্শে এসেছে, সেটাও খাওয়া উচিৎ নয়। সেখান থেকেও ছড়াতে পারে এই ভাইরাস। এখন কয়েকদিন খেজুর না খাওয়াই ভাল। যেকোনও ধরনের রসালো ফল খাওয়ার আগে ভাল করে ধুয়ে নেবেন।
বর্তমানে এই রোগের কোনও সুনির্দিষ্ট টীকা নেই। এই রোগের একমাত্র চিকিৎসা ইন্টেনসিভ সাপোর্টিভ কেয়ারে থাকতে হবে।
তাঁদের চিকিৎসা করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে এক নার্সেরও। অসুখ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায়, প্রত্যেকের দেহই তৎপরতার সঙ্গে দাহ করে ফেলা হয়। মৃতদের শেষ দেখা দেখতে পাননি তাঁদের আপনজনেরাও।
কেরল জুড়ে আচমকা হাই অ্যালার্ট জারি। এক অজানা জ্বরে সম্প্রতি একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যু হয়। পরে জানা যায় তাঁরা নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন।
কয়েকটি নিপা ভাইরাসের খুব সাধারণ উপসর্গ হল মাথার যন্ত্রণা, বমি বমি ভাব, ঘুম পাওয়া, জ্বর, এছাড়া ভুল যাওয়ার প্রবণতাও আসে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে। আক্রান্ত হওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই শ্বাস কষ্ট শুরু হয়।
এই রোগের উপসর্গ, জ্বর, মস্তিষ্কে মারাত্মক জ্বলন অনুভূতি, ঘুম ঘুম ভাব, সঙ্গে মারাত্মক মাত্রায় শ্বাসকষ্ট। এই ধরনের উপসর্গে কেউ যদি আক্রান্ত হন, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সেই ব্যক্তির রক্ত পরীক্ষা করা উচিৎ। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেই ব্যক্তি কোমায় পর্যন্ত চলে যেতে পারেন।
হু-র প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই ভাইরাসের বাহক শূয়র ছাড়া ফ্রুট ব্যাট। এছাড়া, যেসমস্ত মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে, তাদের থেকেও দ্রুত আরেকজনের দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ভাইরাস। কারণ, এটা মারাত্মক ছোঁয়াচেও, জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
সেসময় ২৬৫ জন এই রোগে আক্রান্ত হন। তারমধ্যে ৪০ শতাংশকে ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রাখতে হয়, কারণ প্রত্যেকের দেহেই মারাত্মক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল সেই ভাইরাস।
১৯৯৮ সালে প্রথম মালায়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরে এই রোগের উপসর্গ দেখা যায়। সেই সময় এই অসুখের ভাইরাস প্রথম শূয়রের মধ্যে পাওয়া যায়। সেখান থেকেই মানব দেহে ছড়ায়।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -