নয়াদিল্লি: সর্বসম্মতিতে অযোধ্যার বিতর্কিত জমি রামলালার বলে ঘোষণা করল সুপ্রিম কোর্ট। ৫ বিচারপতির বেঞ্চ এক বাক্যে জানিয়েছে, সরকার ওই জমিতে মন্দির নির্মাণের আদেশ দিক, ট্রাস্ট গড়ে তৈরি হোক রামমন্দির। সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে অন্যত্র কোথাও দেওয়া হোক বিকল্প ৫ একর জমি।


প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে শীর্ষ আদালত বলেছে, ৩ মাসের মধ্যে এ ব্যাপারে প্রকল্প তৈরি করুক কেন্দ্র। মন্দির নির্মাণের নিয়ম তৈরি করুক। সরকারের কাছে ৬৭.৭ একর অধিগৃহীত জমি আছে, সেখান থেকে ৫ একর জমি মুসলমানদের দিকে পারে তারা। অথবা দেওয়া হোক অন্যত্র কোথাও জমি।

শীর্ষ আদালত বলেছে

  • ১৫২৮ সালে মসজিদ নির্মাণ হয় বলা হচ্ছে।

  • মসজিদ কবে তৈরি হয়েছে তাতে কিছু আসে যায় না।

  • যেখানে নমাজ পড়া হয় সেই স্থানকে মসজিদ বলার অধিকার হরণ করা যায় না।

  • হাদিসের ব্যাখ্যা আদালত করতে পারে না।

  • শিয়া পক্ষের দাবি খারিজ।

  • নির্মোহী আখড়ার দাবি খারিজ।

  • মামলায় রামলালাই প্রধান পক্ষ, মানল আদালত।

  • রামলালাকে আইনি স্বীকৃতি দিল সুপ্রিম কোর্ট।

  • ১৯৪৯ সালের ২২-২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে বিতর্কিত কাঠামোর ভেতরে রামলালার মূর্তি রাখা হয়।

  • বাবরি মসজিদ ফাঁকা জমিতে গড়ে ওঠেনি। খননে যে ধ্বংসাবশেষ মিলেছে তা ইসলামীয় স্থাপত্য নয়।

  • মসজিদের নীচে বিশাল কাঠামো ছিল। বিতর্কিত কাঠামো তৈরি হয় পুরনো কাঠামো, স্তম্ভ দিয়ে।

  • আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া বলেনি, মন্দির ভেঙে মসজিদ উঠেছে।

  • হিন্দুরা অযোধ্যাকে রামের জন্মস্থান মানে।

  • অযোধ্যায় রামের জন্মস্থানের দাবির কেউ বিরোধ করেনি। বিতর্কিত জায়গায় হিন্দুরা দীর্ঘদিন ধরে পুজো করে এসেছে। তাদের দাবি মিথ্যে প্রমাণিত হয়নি।

  • ঐতিহাসিক গ্রন্থে রামলালার উল্লেখ রয়েছে।

  • বিতর্কিত কাঠামো হিন্দুরা পরিক্রমা করত। চবুতরা, ভাণ্ডারা, সীতা রসুইয়ের মত নাম তাদের দাবি প্রমাণ করে। এএসআইয়ের প্রমাণ অস্বীকার করা সম্ভব নয়।

  • জমির মালিকানা শুধু আস্থায় প্রমাণিত হয় না।

  • সুন্নিরা মসজিদ তৈরির ফের দাবি করেছে।

  • হিন্দুরা মূল গম্বুজের নীচে রামের জন্মস্থান রয়েছে বলে মানে।

  • ধাঁচার নীচে পুরনো কাঠামো দেখেই হিন্দুদের দাবি মানা সম্ভব নয়।

  • ১৮৫৬-৫৭ পর্যন্ত বিতর্কিত কাঠামোয় নমাজ পড়ার প্রমাণ নেই।

  • ইংরেজরা দুটো জায়গা আলাদা করতে রেলিং বানায়।

  • ১৮৫৬-র আগে ভেতরে হিন্দুরা পুজো করত। বাধা দেওয়ায় বাইরে চবুতরায় পুজো করত। ১৯৩৪-এর পর কাঠামো আর মুসলমানদের দখল ছিল না।

  • যাত্রীদের বিবরণ ও পুরাতাত্ত্বিক প্রমাণ হিন্দুদের পক্ষে। চবুতরা, সীতা রসুইও হিন্দুদের দাবির পক্ষে সাক্ষ্য দেয়।

  • আদালতের রায় থাকার পরেও ৬ ডিসেম্বর, ১৯৯২-এ বিতর্কিত ধাঁচা ভাঙা হয়।

  • জমির আইনি স্বত্ত্ব দেখাতে পারেনি বাবরি পক্ষ।

  • এলাহাবাদ হাইকোর্টের জমিকে ৩ ভাগে ভাগ করার সিদ্ধান্ত ঠিক নয়।

  • সব ধর্মের মানুষকে সংবিধান সমান সম্মান দিয়েছে।