প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে শীর্ষ আদালত বলেছে, ৩ মাসের মধ্যে এ ব্যাপারে প্রকল্প তৈরি করুক কেন্দ্র। মন্দির নির্মাণের নিয়ম তৈরি করুক। সরকারের কাছে ৬৭.৭ একর অধিগৃহীত জমি আছে, সেখান থেকে ৫ একর জমি মুসলমানদের দিকে পারে তারা। অথবা দেওয়া হোক অন্যত্র কোথাও জমি।
শীর্ষ আদালত বলেছে
- ১৫২৮ সালে মসজিদ নির্মাণ হয় বলা হচ্ছে।
- মসজিদ কবে তৈরি হয়েছে তাতে কিছু আসে যায় না।
- যেখানে নমাজ পড়া হয় সেই স্থানকে মসজিদ বলার অধিকার হরণ করা যায় না।
- হাদিসের ব্যাখ্যা আদালত করতে পারে না।
- শিয়া পক্ষের দাবি খারিজ।
- নির্মোহী আখড়ার দাবি খারিজ।
- মামলায় রামলালাই প্রধান পক্ষ, মানল আদালত।
- রামলালাকে আইনি স্বীকৃতি দিল সুপ্রিম কোর্ট।
- ১৯৪৯ সালের ২২-২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে বিতর্কিত কাঠামোর ভেতরে রামলালার মূর্তি রাখা হয়।
- বাবরি মসজিদ ফাঁকা জমিতে গড়ে ওঠেনি। খননে যে ধ্বংসাবশেষ মিলেছে তা ইসলামীয় স্থাপত্য নয়।
- মসজিদের নীচে বিশাল কাঠামো ছিল। বিতর্কিত কাঠামো তৈরি হয় পুরনো কাঠামো, স্তম্ভ দিয়ে।
- আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া বলেনি, মন্দির ভেঙে মসজিদ উঠেছে।
- হিন্দুরা অযোধ্যাকে রামের জন্মস্থান মানে।
- অযোধ্যায় রামের জন্মস্থানের দাবির কেউ বিরোধ করেনি। বিতর্কিত জায়গায় হিন্দুরা দীর্ঘদিন ধরে পুজো করে এসেছে। তাদের দাবি মিথ্যে প্রমাণিত হয়নি।
- ঐতিহাসিক গ্রন্থে রামলালার উল্লেখ রয়েছে।
- বিতর্কিত কাঠামো হিন্দুরা পরিক্রমা করত। চবুতরা, ভাণ্ডারা, সীতা রসুইয়ের মত নাম তাদের দাবি প্রমাণ করে। এএসআইয়ের প্রমাণ অস্বীকার করা সম্ভব নয়।
- জমির মালিকানা শুধু আস্থায় প্রমাণিত হয় না।
- সুন্নিরা মসজিদ তৈরির ফের দাবি করেছে।
- হিন্দুরা মূল গম্বুজের নীচে রামের জন্মস্থান রয়েছে বলে মানে।
- ধাঁচার নীচে পুরনো কাঠামো দেখেই হিন্দুদের দাবি মানা সম্ভব নয়।
- ১৮৫৬-৫৭ পর্যন্ত বিতর্কিত কাঠামোয় নমাজ পড়ার প্রমাণ নেই।
- ইংরেজরা দুটো জায়গা আলাদা করতে রেলিং বানায়।
- ১৮৫৬-র আগে ভেতরে হিন্দুরা পুজো করত। বাধা দেওয়ায় বাইরে চবুতরায় পুজো করত। ১৯৩৪-এর পর কাঠামো আর মুসলমানদের দখল ছিল না।
- যাত্রীদের বিবরণ ও পুরাতাত্ত্বিক প্রমাণ হিন্দুদের পক্ষে। চবুতরা, সীতা রসুইও হিন্দুদের দাবির পক্ষে সাক্ষ্য দেয়।
- আদালতের রায় থাকার পরেও ৬ ডিসেম্বর, ১৯৯২-এ বিতর্কিত ধাঁচা ভাঙা হয়।
- জমির আইনি স্বত্ত্ব দেখাতে পারেনি বাবরি পক্ষ।
- এলাহাবাদ হাইকোর্টের জমিকে ৩ ভাগে ভাগ করার সিদ্ধান্ত ঠিক নয়।
- সব ধর্মের মানুষকে সংবিধান সমান সম্মান দিয়েছে।