কলকাতা: শরীর সুস্থ রয়েছে কিনা তা ফুটে ওঠে ত্বকে। শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় কোনও গোলমাল হলে তা ত্বকের উপর কোনও না কোনও প্রভাব ফেলেই। খাবারের মাধ্যমেই পর্যাপ্ত ভিটামিন, মিনারেল বা খনিজ এবং নানা ধরনের পোষকপদার্থ শরীরে যায়। ফলে সেভাবেই বাছাই করে বানাতে হয় ডায়েট (Diet)। ভিটামিন, অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট, মিনারেল ঠিকমতো শরীরে না গেলে তার প্রভাব পড়ে ত্বকে। সহজেই ছাপ ফেলতে পারে বয়সবৃদ্ধি। বিশেষ করে প্রভাব পড়তে পারে ত্বকে (Skin) ও চোখে।


বেশ কিছু খাবার আছে, যাদের অ্যান্টি এজিং (Anti Aging) বলা হয়। ভিটামিন, এলাজিক অ্যাসিড (ellagic acid), প্রাকৃতিক কোলাজেন বুস্টার-এসব সমৃদ্ধ হয় এই ধরনের খাবারগুলি। এসব পদার্থ শরীরে বয়সের ছাপ ফেলতে বাধা দেয়।


অলিভ অয়েল:
অন্য়তম পুষ্টিকর তেল এটি। হেলদি ফ্যাট এবং অ্য়ান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ হয় অলিভ অয়েল। যা প্রদাহ, অক্সিডেটিভ ড্যামেজ (Oxidative Damage), বলিরেখা তৈরিতে বাধা দেয়। হৃদযন্ত্র ও ধমনীর জন্য প্রয়োজনীয় ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডেরও ভাল উৎস এটি।


গ্রিন টি:
প্রতিদিনের খাবারে অ্যান্টি অক্সিড্যান্টের উৎস রাখা প্রয়োজন। সেই চাহিদা প্রায় অনেকটাই পূরণ করতে পারে গ্রিন টি (Green Tea)। মানবদেহের কোষের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ গ্রিন টি একাধিক ক্রনিক রোগ দূরে রাখতে সাহায্য় করবে। ত্বকের জন্য় ও পাচনতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত উপকারী গ্রিন টি। পুরুষদের প্রস্টেট সংক্রান্ত সমস্যা রুখতে কাজ করে।  


ডার্ক চকোলেট:
চকোলেট মানেই বহু ক্যালোরি এমনটা নয়।  ডার্ক চকোলেটের (Dark Chocolate) বহু গুণ রয়েছে। এর পুষ্টিগুণও অনেক বেশি। প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট থাকে এখানে। যা অ্যান্টি এজিং এলিমেন্ট (Anti Ageing Element) হিসেবে কাজ করে। প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনল রয়েছে ডার্ক চকোলেটে। যা রোদ থেকে ত্বককে রক্ষা করে।


বাদাম:
বার্ধক্য দূরে রাখতে গেলে প্রতিদিনের ডায়েটে বাদাম রাখতেই হবে। বাদামে (Nuts) বিভিন্ন ধরনের পোষক পদার্থের সমাহার থাকে। প্রোটিন, ভিটামিন,  খনিজ থাকে। আমন্ড ও আখরোটে প্রচুর ভিটামিন ই (Vitamin E) থাকে। যা ত্বককে রোদের হাত থেকে রক্ষা করে। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্যও প্রয়োজন বাদাম।


মাছ:
বিভিন্ন ধরনের ছোট মাছ ও কিছু সামুদ্রিক মাছ (Fish) স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। কিন্তু কেন? কারণ এই মাছগুলি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড (Omega 3 Fatty Acid)-এর উৎস। এছাড়াও বিভিন্ন খনিজ পদার্থ পাওয়া যায় এই মাছগুলি থেকে। ভিটামিন ই এবং জিঙ্কের উৎস (zinc) এগুলি। যা সুস্থ শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।


ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার:
বিভিন্ন গরনের লেবু থেকে টোম্যাটো বা কিউই। যে ফলে বা সব্জিতে ভিটামিন সি (Vitamin C) রয়েছে। পাতে সেগুলি রাখতেই হবে। সারা বছর ধরেই বিভিন্ন মরসুমে বিভিন্ন ফল পাওয়া যায় যা vitamin C সমৃদ্ধ। খেতেই হবে সেগুলি। বলিরেখা রুখতে সাহায্য করে এটি। বিশেষ করে কিউই (Kiwi) এর জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন: গরমকালে কোন কোন অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে?