কোলেস্টেরল দুই রকমের। LDL ও HDL ।  এই এলডিএল-কে বলে খারাপ কোলেস্টেরল। এর মাত্রাটা বেড়ে গেলেই সমস্যা।  এই খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাটা বেড়ে গেলেই তার প্রভাব পড়ে শরীরে। কোলেস্টেরল এক ধরনের চর্বিজাতীয় পদার্থ, যা মানুষের শরীরে থাকবেই। তবে তার একটা মাত্রা আছে।  রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়া মানেই নানারকম অসুখের ঝুঁকি।  স্ট্রোক (Stroke), থেকে হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack), সব কিছুরই মূলে কোলেস্টেরল। চিকিৎসকরা খারাপ কোলেস্টেরল বৃদ্ধিকে নীরব ঘাতক বলে থাকেন। কোলেস্টেরল কখন যে বেড়ে গিয়েছে, তা অনেক সময়ই টের পাওয়া যায় না। তবে হাত ও পায়ে এমন লক্ষণ থাকতে পারে যা কোলেস্টেরল বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। এর মধ্যে রয়েছে পায়ে ব্যথা বা খিঁচুনি, অসাড় ভাব, পায়ে ঝিনঝিন, নখ হলুদ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। এই লক্ষণগুলি চিহ্নিত করা এবং সময়মতো ডাক্তার দেখানো প্রয়োজনীয়।  আসুন জেনে নেওয়া যাক হাত ও পায়ে কী কী লক্ষণ দেখা যায়, উচ্চ কোলেস্টেরল থাকলে। 

হাত ও পায়ের ঝিনঝিন করা: ধমনীতে কোলেস্টেরল জমা হলে, হাত ও পায়ে পর্যাপ্ত রক্ত পৌঁছায় না। এর ফলে প্রায়শই হাত ও পায়ে ঝিনঝিন ধরে।  সূঁচ ফোঁটার মতো অনুভূতি হয়। রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয়।

পায়ে খিঁচুনি: খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে ধমনীতে ব্লকেজ হতে পারে।  অনেক সময় পায়ের পেশীগুলিকে সঠিক পরিমাণে অক্সিজেন পৌঁছায় না। এই কারণেই হাঁটার সময় বা এমনকী সামান্য শারীরিক পরিশ্রমের সময়ও পায়ে টান ধরতে পারে। যদি পায়ে ঘন ঘন খিঁচুনি হয়, তাহলে তা উচ্চ কোলেস্টেরলের লক্ষণ হতে পারে।

 হাত ও পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া : কোলেস্টেরল বৃদ্ধির ফলে ধমনীগুলি সঙ্কুচিত হয়ে যায়, যা রক্ত প্রবাহ ব্যাহত হয়। এর ফলে,  হাত ও পা ঠান্ডা  হয়ে যায় অনেক সময়।  এটি পায়ে পর্যাপ্ত রক্ত না পৌঁছানোর লক্ষণ।

হাত ও পায়ে অবিরাম ব্যথা: ধমনীর ব্লকেজ রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা সৃষ্টি করে। এর ফলে প্রায়শই বাহু ও পায়ে ব্যথা হয়। বিশেষ করে পায়ে ব্যথা একটি উল্লেখযোগ্য লক্ষণ । 

পায়ের ক্ষত যদি না সারে : যদি আপনার পায়ে ছোট কাটা বা ক্ষত থাকে এবং তা যদি না সারতে চায়,  তাহলে বিষয়টিকে হালকাভাবে নেবেন না। দুর্বল রক্ত সঞ্চালনের ফলে এমন প্রভাব দেখা যায়।

ত্বকের রঙ পরিবর্তন: রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত  হলে  পায়ের ত্বকের রঙ পরিবর্তন হতে পারে। অক্সিজেনের অভাবে, ত্বকে প্রায়শই নীল বা বেগুনি দাগ দেখা যায়।

যদি আপনার হাতে বা পায়ে এই লক্ষণগুলির কোনওটিও দেখা যায়, তাহলে একেবারেই এড়িয়ে যাবেন না। অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।  

ডিসক্লেমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।