কলকাতা: আমন্ড তো অনেকেই খান। স্বাস্থ্যের জন্য আমন্ডের গুণের কথা তো অনেকেই জানেন। কিন্তু খাওয়া ছাড়াও ত্বকের জন্যও অত্যন্ত উপকারী আমন্ড। ত্বক ও চুলের জন্য বেশ ভাল এই বাদাম। আমন্ডের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই রয়েছে যা হেয়ার ফলিকলগুলিকে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। আপনার হেয়ার ফলিকল সুরক্ষিত থাকলে তবেই নতুন চুল গজাবে। তাই রোজ আমন্ড খাওয়ার অভ্যাস রাখতে পারেন। হেয়ার ফলিকল সুরক্ষিত থাকলে আপনার চুলের গোড়া শক্ত হবে এবংচুলেরগঠন সুদৃঢ় হবে।


অ্যান্টি এজিং- এই আমন্ড। ভিটামিন ই- তে ভরপুর আমন্ড। ত্বকের অন্দর থেকে পুষ্টি জোগায় এটি। আমন্ডে ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড ৩ এবং ৬ রয়েছে। এই দুটি স্বাস্থ্যকর চুলের জন্য প্রয়োজনীয়। ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড 3 এবং 6 রক্ত সংবহনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চুলের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় এটি। খুশকির সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে আমন্ড। প্রতিদিন আমন্ডের ব্যবহার মাথার ত্বক ভাল রাখে। শুষ্ক হতে দেয় না। একাধিক খনিজ থাকায় এবং ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় আমন্ড চোখ ভাল রাখতে সাহায্য করে। স্ট্রেসও কমায়। ভিটামিন ই ও অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে ভরপুর থাকায় ব্রণ কমিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। সেলেনিয়ামও রয়েছে আমন্ডে।


আরও পড়ুন...


'হেয়ার থিনিং' বা চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছেন? মুক্তির উপায় কী? রইল কিছু সহজ টিপস


যাদের রুক্ষ চুলের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য আমন্ড অয়েল ব্যবহারে তৈরি করা হেয়ার প্যাক খুব ভালো কাজে দেবে।


পাশাপাশি, ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ আমন্ড অয়েল চুলের পুষ্টি জোগানোর পাশপাশি চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতেও অবদান রাখে। তেলটি চুলের স্ক্যাল্পের pH এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে, স্ক্যাল্প থেকে ময়লা দূর করতে এবং মাথার ত্বকের ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখতে কাজ করে।


চুলে ব্যবহারের জন্য সমপরিমাণ নারিকেল তেল, ক্যাস্টর অয়েল ও আমন্ড অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে। রাতে সম্পূর্ণ চুলে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে সারারাত চুলে তেল রেখে দিতে হবে। পরদিন সকালে হারবাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।