নয়াদিল্লি : ইঞ্জেকশন নয়, এবার নাক দিয়েই নেওয়া যাবে ভ্যাকসিন। ন্যাজাল ভ্যাকসিনে ছাড়পত্র দিল কেন্দ্র সরকার।এটি হেটেরোলগাস বুস্টার হিসেবে ব্যবহার করা হবে। এই ভ্যাকসিন নিতে পারবেন কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন গ্রহীতারা।


সূত্রের খবর, আজ থেকেই কো উইন অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। আপাতত বেসরকারি হাসপাতালে মিলবে ন্যাজাল ভ্যাকসিন।  


আরও পড়ুন :


দেশে শুরু হয়ে গেল করোনা নিয়ে কড়াকড়ি ! দেশে সত্যিই কেমন সংক্রমণের হার


ভারত বায়োটেকের ন্যাজাল ভ্যাকসিন সুঁচ ফুটিয়ে নিতে হবে না। এটি হবে ভারতের প্রথম বুস্টার ডোজ। এটি ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের দেওয়া যেতে পারে। শীঘ্রই ভ্যাকসিনের মূল্য নির্ধারণ করা হবে এবং এটি সরকারি ও বেসরকারি সুবিধায় উপলব্ধ হবে।


বর্তমানে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন, সিরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড এবং কোভোভ্যাক্স, রাশিয়ান স্পুটিঙ্ক ভি এবং বায়োলজিক্যাল ই লিমিটেডের কর্বেভ্যাক্স CoWin পোর্টালে তালিকাভুক্ত। 6 সেপ্টেম্বর, ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী ঘোষণা করে, যে তার iNCOVACC (BBV154), 18 বছর বা তার বেশি বয়সীদের জন্য জরুরি পরিস্থিতিতে সীমাবদ্ধ ব্যবহারের অধীনে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (Drugs Controller General of India under Restricted Use in Emergency Situation )কাছ থেকে অনুমোদন পেয়েছে।


বুস্টার ডোজ হিসেবে নেওয়া যাবে এই ভ্যাকসিন
কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন গ্রহীতারাও এই ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। আপাতত বেসরকারি হাসপাতালে মিলবে এই ন্যাজাল ভ্যাকসিন। ইনকোভ্যাক ভ্য়াকসিন ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে হয়। কীভাবে ব্যবহার করতে হয় ইনকোভ্যাক? ৪ সপ্তাহের ব্যবধানে ন্যাজাল ভ্যাকসিনের ২টি ডোজ নিতে হয়। প্রতি ডোজে নিতে হয় ৫ মিলিগ্রাম অর্থাৎ ভ্যাকসিনের ৮টি ড্রপ। নিয়ম হল, দু-নাকে ৪ ড্রপ করে ভ্যাকসিন দিতে হয়। 


ন্যাজাল ভ্যাকসিনের সুবিধাগুলো হল.



  • এই ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সুচ লাগে না। ফলে, কোনওরকম ক্ষত তৈরি বা সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে না

  • ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া খুব সহজ হওয়ায়, প্রয়োজন হয় না কোনও প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীর।


ভ্যাকসিন নেওয়ার পর যে যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি হতে পারে, সেগুলি হল...



  • মাথা ব্যথা

  • জ্বর

  • নাক দিয়ে জল পড়া এবং হাঁচি হওয়া।