অন্ত্রের ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে । কোলোরেক্টাল ক্যান্সার কোনও কোনও ক্ষেত্রে সারিয়ে তোলা খুবই কঠিন। বিশ্বব্যাপী ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ এই ধরনের ক্যান্সার। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ সালে ১.৯ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ নতুন করে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েছে । টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দাবি, ২০২০ থেকে বিশ্বব্যাপী ৯,৩০,০০০ এরও বেশি মৃত্যু হয়েছে এই ধরনের ক্যান্সারে।
WHO-এর তথ্য অনুসারে, ২০৪০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী এই ক্যান্সারের থাবা অনেকটা চওড়া হবে। প্রায় ৩২ লক্ষ মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হতে পারে এই রোগে। অর্থাৎ কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের নতুন কেস ৬৩% বৃদ্ধি বেড়ে যেতে পারে। প্রতি বছর এই অসুখে ১৬ লক্ষ মানুষের মৃত্যুও হতে পারে বলে আশঙ্কা ।
এই ধরনের ক্যান্সার মূলত শুরু হয় কোলন বা বৃহৎ অন্ত্র থেকে। প্রাথমিক পর্যায়ে অন্ত্রের ক্যান্সারের কোনও লক্ষণ থাকে না অনেক সময়ই। তবে কিছু ক্ষেত্রে কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তবে ডাক্তাররা কয়েকটি লক্ষণ নিয়ে বিশেষ করে সতর্ক করেছেন। যেমন কোনও কারণ ছাড়াই ওজন হ্রাস। এছাড়া মলে রক্তও চিন্তার বিষয়। মলের রং লালচে বা কালো হতে পারে। বিশ্রামের পরেও ক্লান্তি না-কমলে সতর্ক থাকুন।
চিকিৎসকরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী অন্ত্রের ক্যান্সারের হার বাড়ছে। ১৯৯০ সালের পরে জন্মগ্রহণকারীদের মধ্যে এই ক্যান্সারের প্রবণতা বাড়ছে। ডাক্তারদের পরামর্শ, উচ্চ ফাইবারযুক্ত, উদ্ভিদজ খাবার খাওয়া ভাল। এড়িয়ে চলা ভাল, প্রক্রিয়াজাত খাবার, রেড মিট ও প্রক্রিয়াজাত মাংস । চিনিজাতীয় খাবার এড়াতে হবে। তবে আশার কথা একটাই চিকিৎসকরা বলছেন, অন্ত্রের ক্যান্সার ৫৪% ক্ষেত্রে প্রতিরোধযোগ্য। তবে তার জন্য দরকার, জীবনধারার ইতিবাচক পরিবর্তন। অ্যালকোহল খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কমপক্ষে ৭-৯ ঘন্টা ঘুমানোও প্রয়োজন। BMJ- এর একটি গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত ১০ গ্রাম ফাইবার কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি ১০% কমায়।