ভারতে মহিলাদের মধ্যে দ্রুত বাড়ছে স্তন ক্যান্সারের প্রকোপ।  বিশেষ করে শহরাঞ্চলের মহিলাদের মধ্যে, এই রোগের হার ক্রমশ বাড়ছে। চিকিৎসকরা অনেক সময়ই এর পরোক্ষ কারণগুলির তালিকায় রাখছেন জীবনযাত্রার ধরনকে। স্থূলতা, খারাপ জীবনযাত্রা এবং জিনগত প্রবণতা স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। দুর্ভাগ্যবশত, সচেতনতার অভাব এবং দেরিতে স্ক্রিনিংয়ের জন্য  অনেক ক্ষেত্রে একেবারে বাড়াবাড়ি পর্যায় সংক্রমণ ধরা পড়ে। বেশিরভাগ মানুষ স্তন ক্যান্সারের প্রথম এবং সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ মনে করে স্তনের মধ্যে কোনও লাম্প বা পিণ্ডকে । তবে অনেক ডাক্তাররা মনে করছেন, অনেক মহিলা স্তন ক্যান্সারের অনেক লক্ষণ জানেন না। 

Continues below advertisement

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ এবং ন্যাশনাল ক্যান্সার রেজিস্ট্রি প্রোগ্রামের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতে যেসব মহিলারা ক্যান্সারে আক্রান্ত হন, তাঁদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত প্রায় ২৮ শতাংশ। পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে অর্ধেকেরও বেশি স্তন ক্যান্সারের ঘটনা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে ধরা পড়ে কারণ প্রাথমিক লক্ষণগুলি প্রায়শই উপেক্ষা করা হয়।

স্তন ক্যান্সারের স্তনে পিণ্ড বা লাম্প ছাড়া অন্যান্য লক্ষণও রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্তন ক্যান্সারের রোগীদের অতিরিক্ত ক্লান্তি, হাড়ের ব্যথা এবং অব্যক্ত ওজন হ্রাসের মতো লক্ষণগুলি দেখা দিতে পারে। এগুলোও হতে পারে ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ । স্তনের ক্যান্সার যখন শরীরের অন্যত্রও ছড়িয়ে পড়ে তখন এই লক্ষণগুলি প্রকট হয়। এছাড়া   স্তনে একটি ছোট, ব্যথাহীন পিণ্ডও উপেক্ষা করা উচিত নয়।  

Continues below advertisement

স্তন ক্যান্সারের অপেক্ষাকৃত অচেনা কিছু লক্ষণ আছে  যা  উপেক্ষা করা উচিত নয়। স্তনের আকার বা আকৃতিতে যে কোনো নতুন পরিবর্তন উপেক্ষা করবেন না। স্তনের কোনও অংশ ফুলে যাওয়া বা মোটা হয়ে যাওয়া। স্তন বা স্তনবৃন্তের অংশে স্থায়ী বা স্থানীয় ব্যথা।  স্তনের ত্বক যদি কমলা লেবুর খোসার মতো দেখায়।  ত্বকের লালচে ভাব,বা শুকনো ভাব, রং পরিবর্তন উপেক্ষা করবেন না।  স্তনবৃন্ত যা স্তনের কোনও অংশ ভেতরের দিকে ঢুকে যাওয়া।  স্তনবৃন্ত থেকে অন্য স্রাব বেরতে দেখলে সতর্ক হোন। 

ন্যাশনাল ক্যান্সার গ্রিড অফ ইন্ডিয়া অনুসারে, ভারতে স্তন ক্যান্সার প্রায় ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রেই তৃতীয় বা চতুর্থ পর্যায়ের রোগ ধরা পড়ে। প্রাথমিক পর্যায়ের রোগ নির্ণয়ের ফলে সুস্থ হওয়ার প্রবণতা বাড়ে।  চিকিৎসকরা বলেন. যে ২০ বছর বয়সের পর থেকেই মহিলাদের প্রতি মাসে নিজে হাতে স্তনেরপরীক্ষা করা উচিত। এই পদক্ষেপগুলি স্তন ক্যান্সার বৃদ্ধির আগে এটি সনাক্ত করতে এবং সময়মত চিকিৎসা প্রদানে সহায়তা করতে পারে।