ডায়াবেটিস মানেই সব খাওয়া দাওয়া বন্ধ ? আম-কলা-মিষ্টি সব বাদ ? নাহ, সারাজীবন সব খাবার দাবার বাদ দিয়ে কেউ বাঁচতে পারেন না। তাই কী খাবেন, কতটা খাবেন, কতবার খাবেন, সবটাই নির্ভর করে একজন রোগীর উপর । একজন রোগীর বয়স, কতদিন ধরে তিনি ব্লাড সুগারের রোগী, কতটাই বা তাঁর ব্লাড সুগারের মাত্রা, এক্ষেত্রে সবটাই দেখে নিতে হবে। ব্লাড প্রেসারের রোগী মাত্রই কয়েকটা প্রশ্ন মনে জাগে । 



  • আর কি ভাত খেতে পারব না ?

  • মিষ্টি ফল খাওয়া কি এক্কেবারে বাদ ? 

  •  চিনির বদলে গুড় খাওয়া যায় কি ? 

  • ডায়াবেটিস হলে আম খাওয়া যায় ? 

    এর উত্তর দিয়েছেন বিশিষ্ট চিকিৎসক সুমন মিত্র।  ডায়াবেটিস হলে মিষ্টি খাওয়া যে কমাতেই হবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু বন্ধ করে দিতে হবে কি না, সেটা নির্ভর করবে চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদ কী বলছেন তার উপর। চিকিৎসক জানাচ্ছেন ডায়াবেটিস ম্যানেজমেন্ট সাধারণত কয়েকটি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে।

  • জীবনশৈলির পরিবর্তন 

  • শরীরচর্চা করা ( দিনে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট হাঁটতেই হবে ) 

  • ওষুধের ব্যবহার 

    চিনির বদলে সুগার সাবস্টিটিউট ব্যবহার করা যায় ?

    খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের বিষয়টিতে প্রধান হচ্ছে চিনির ইনটেক কমানো। যদি কেউ চিনি খাওয়াটা এক্কেবারে কমিয়ে দিতে পারেন, তাহলে তো সবথেকে ভাল। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রই দেখা যায়, একজন স্বাভাবিকভাবে চিনি খাওয়ায় রাশ টানতে পারছেনই না। তখনই সুগার সাবস্টিটিউটের কথা ভাবা হয়। তবে এটা সাময়িক বিকল্প হলেও সমাধান নয়। কারণ এই ধরনের জিনিসের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকেই। কয়েকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে সুগার-সাবস্টিটিউটে কার্সিনোজেনিক ফ্যাক্টর থাকে, অর্থাৎ এর থেকে ক্যানসারের উদ্রেক হতে পারে । সেগুলি বাদ দিলেও, কতটা খেতে অনুমতি দেওয়া হবে, তা নির্ভর করছে ডাক্তার বাবুর উপর। চিকিৎসক সুমন মিত্র মনে করেন, চিনি খাওয়ার পরিমাণ আস্তে আস্তে কমাতে হবে। কমিয়ে অর্ধেক করে ফেলতে পারলে ভাল। যতটা সম্ভব চেষ্টা করার পর দেখতে হবে, ব্লাড সুগার ঠিকঠিক জায়গায় এল কি না। 

    চিনির বদলে  গুড় খাওয়া যায় কি ?

    হ্যাঁ চিনির বদলে গুড় খাওয়া যেতেই পারে। তবে , সেখানেও দরকার নিয়ন্ত্রণ।  

    সুগারের রোগী কি আম খেতে পারেন ? 
    একজন ডায়াবেটিক মোটেই  প্রতিদিন আম খেতে পারবেন না। কারণ , আমের  glycemic index বেশ বেশি। তাই আম খেলেই ব্লাডে সুগারের লেভেল বাড়তে থাকে তরতরিয়ে। তবে এক আধদিন কিন্তু খাওয়া যেতেই পারে। তবে তার জন্য নির্দিষ্ট একটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। সপ্তাহে ১-২ দিন একটি মিলের পরিবর্তে আম খাওয়া যেতে পারে। তবে অতিরিক্ত নয়। তাহলে প্রভূত ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে এটি যেন নিয়মিত না হয়ে যায়।