নাকের ছিদ্রের মধ্য হাত দেওয়া বা নাকের ময়লা বের করার ( Nose picking ) অভ্যেস অনেকেরই। সর্দি-গর্মি হলে এই প্রবণতা আরওই বেড়ে যায়। এই অভ্যেস যে দৃষ্টিকটু , তা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই সঙ্গে এই কারণে কত রোগ যে আসে-পাশে ছড়িয়ে পড়ে, তার ঠিক নেই ! নতুন একটি গবেষণা বলছে, এই অভ্যেসের ফলে ছড়াতে পারে করোনাও। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, করোনার ঢেউ অনেকটা প্রশমিত হলেও অতিসম্প্রতি বাংলায় একাধিক করোনা আক্রান্তের মৃত্যু ঘটেছে। 


এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন নেদারল্যান্ডের কয়েক জন বিজ্ঞানী। এই বিজ্ঞানীদলই পরীক্ষা চালিয়ে দেখেছিল, স্বাস্থ্যকর্মীরা যাঁরা করোনা-আক্রান্তদের চিকিৎসা করেন, তাঁদের করোনা হওয়ার ঝুঁকি বেশি। Journal Plos One- এ প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাটি। Amsterdam University Medical Centre এর ২১৯ জন কর্মচারীর উপর করা হয় একটি গবেষণা। এবং গবেষণার ফলটি বিশেষজ্ঞরা ভালভাবে খতিয়ে দেখেছেন। 


ওই স্টাডি বলছে, ২১৯ জনের উপর সার্ভেটি সম্পূর্ণ করা হয়। ৮৪.৫ শতাংশ জনই মাঝে মধ্যেই নাকে হাত দিয়ে থাকেন বা নাক থেকে ময়লা বের করে থাকেন। কেউ মাসে একবার, কেউ সপ্তাহে, কেউ বা রোজই নাক খুঁটে থাকেন। এবং দেখা গিয়েছে, যাঁদের এই নাক খোঁটার অভ্যেস রয়েছে, তাঁদের Covid-19 এর ঝুঁকি বেশি। 


এই স্টাডি আরও একটি দাবি করেছেন Covid-19 infection এর সঙ্গে দাঁতে নখ কাটা, চোখ চশমা পরা বা দাড়ি রাখার সম্পর্ক নেই।        


গবেষকরা উল্লেখ করেছেন, এটা খুবই আশ্চর্যজনক, বিজ্ঞানীরা এতদিন কত গবেষণা করেছেন, আমাদের নিজেদের টিম কত ধরনের গবেষণা করেছে, কিন্তু এতদিন এই ছোট ছোট বিষয়গুলি সকলের চোখ এড়িয়ে গিয়েছ। এই অভ্যেসগুলি মানুষের মধ্যে খুবই কমন, যা কোভিডের ঝুঁকি বাড়ানোর আশঙ্কা বাড়ায়। কোভিড ১৯ আটকানোর জন্য মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, হাত স্যানিটাইজ করার মতো বিষয়ে সচেতন করা হয় মানুষকে। কিন্তু এই গবেষণা বলে দিচ্ছে, নাক খোঁটার বিষয়টিও রোজকার অভ্যেস থেকে বাদ দিতে হবে। নইলে কোভিডের ঝুঁকি বাড়বে।                 


আরও পড়ুন


মাথা যন্ত্রণায় জেরবার? ঘরোয়া উপায়ে নিরাময় পাবেন কীভাবে?  

আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial