কলকাতা: শরীর ভাল রাখার জন্য আমরা কতরকম খাবার খাই। পুষ্টিকর পদার্থ থেকে শুরু করে একাধিক ওষধিগুণ সম্পন্ন খাবার। বর্তমান সময়ে যে সমস্যা সবচেয়ে বেশি ভোগাচ্ছে তা হল অনিয়ন্ত্রিত ওজন। যা থেকে স্থূলতা এবং আরও নানা রোগে থাবা বসাচ্ছে শরীরে। শরীরের ওজন যেমন খাওয়া-দাওয়া ও শরীরচর্চার (Exercise) উপর নির্ভর করে। তেমনই আরও একটি জিনিসের উপর নির্ভর করে, তা হল মেটাবলিজম (Metabolism)। শরীরের দূষিত পদার্থ বের করে দেওয়া এবং শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া ঠিকমতো চলার পিছনে এই মেটাবলিজমের গুরুত্ব অপরিসীম। মেটাবলিজমের হার বেশি থাকলে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমে না। বেশ কিছু  খাবার রয়েছে যা এই কাজ করতে সাহায্য করে থাকে। শরীরের দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে বলে একে ডিটক্স (Detox Food) বলা হয়ে থাকে। দেখে নেওয়া তারই কয়েকটা।


রেড পেপার (Red Pepper):
অত্যন্ত ঝাল (Spicy) এই খাদ্য মেটাবলিজমের হার বাড়ায়। এই খাবারে ক্যাপসাইসিন (Capsaicin)জাতীয় পদার্থ রয়েছে যা অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট ও প্রদাহরোধী, এই পদার্থ ব্যথা সারাতেও উপকরা করে। বিশেষ প্রক্রিয়ার কারণে বেশি ক্যালোরি খরচ করায় এই খাদ্য়।


গ্রিন টি (Green Tea):
ডিটক্সিক হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গ্রিন টি। গ্রিন টি-তে অত্যধিক পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েড (Flavonoid) রয়েছে যা শরীরকে ক্যালোরি খরচ করতে সাহায্য করে। মেটাবলিজম রেট বাড়িয়ে চর্বি জমতে দেয় না।  সারাদিনে কয়েক কাপ গ্রিন টি খেলে সহজেই ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।


আদা (Ginger):
হজমপ্রক্রিয়া ভাল রাখতে জুড়ি নেই আদার। অন্ত্রে গ্যাসের প্রকোপ রোখে আদা। জিঞ্জারোল (Gingerol) নামে একটি যৌগ রয়েছে আদায়। যা হজম ঠিক রাখতে, পাচনের কাছে সাহায্য করে। এছাড়া আরও একাধিক সমস্যা মেটাতেও কার্যকরী এই যৌগ। থার্মোজেনিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ওজন কমাতে সাহায্য করে আদা।


গুরানা (Gurana):
এই ফলজাতীয় খাদ্যটি আদলে ভারতের নয়। দক্ষিণ আমেরিকার ব্রাজিলের উত্তরে এবং লাগোয়া কিছু এলাকায় মূলত এটি পাওয়া যায়। ইদানিং আরও কিছু জায়গায় চাষ হচ্ছে। এখানে ক্যাফাইন  থাকে। শরীরে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি খরচ করায় এটি। সাধারণত রস করে অথা চা-জাতীয় পানীয়ের মধ্যে দিয়ে খায় এই ফল।


কফি (Coffee):
এনার্জির জন্য় বা ঘুম তাড়াতে আমরা প্রায়শই খাই কফি। ভরপুর ক্যাফেইন (Caffeine) থাকে কফিতে। যা মেটাবলিজন রেট বাড়াতে সাহায্য করে। যদিও সকালে বা বিকেলের দিকে খেতে হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে রাতের দিতে কফি খেতে নেই। অতিরিক্ত ক্যাফেইন থাকার কারণে ঘুমে সমস্যা হাতে পারে।


দারচিনি (Cinamon):
ভরপুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে দারচিনিতে। শরীরের দূষিত পদার্থ বের করতে দারচিনির কোনও জুড়ি নেই। প্রদাহরোধী (Anti inflammatory) পদার্থ থাকায় শরীরের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য় করে দারচিনি। এছাড়াও মেটাবলিজম বাড়ায় দারচিনি। ফলে ওজন ঝরাতে সাহায্য করে। 


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন: চোখ বাঁচাতে এখনই ছাড়তে হবে ধূমপান