নয়া দিল্লি: হিন্দু ধর্মে পুজোর একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। তবে প্রদীপ ও ধূপ ছাড়া পুজো অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। পুজো করার সময় ধূপ জ্বালানোরও হিন্দুধর্মে বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে।  ধূপ জ্বালানোকে দেবতার প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের উপায় হিসেবে দেখা যায়। এই কারণেই হিন্দুরা যতই বড় বা ছোট পুজো হোক না কেন প্রতিবার পুজোর করার সময় ধূপ জ্বালানো হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে ধূপকাঠি জ্বালানো গৃহস্থালিতে শুভ পরিমণ্ডল বজায় রাখতে সাহায্য করে।


ধূপকাঠি সাধারণত প্রাকৃতিক ভেষজ দিয়ে তৈরি, যার সুবাস নেতিবাচক শক্তি দূর করতে সাহায্য করে। পুজোর সময় ধূপকাঠি জ্বালানো ক্ষতিকারক কীটপতঙ্গ দূর করতেও সাহায্য করে, তাই এটিকে প্রাকৃতিক কীটনাশক হিসেবেও বিবেচনা করা যেতে পারে।


ধূপকাঠির উপকারিতা:



১। নেতিবাচকতা দূর করে: বাড়িতে ইতিবাচক ভাব বজায় রাখতে এবং নেতিবাচকতাকে দূরে রাখতে পুজোর সময় ধূপকাঠি জ্বালানো হয়। প্রাচীন হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে, ধূপকাঠি জ্বালানো বাড়িতে ইতিবাচকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও, এটি পরিবারের সকল সদস্যের জীবনে একটি ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করতে সহায়তা করে।



২। সুখ এবং মানসিক শান্তি নিয়ে আসে: পুজোর সময় ধূপ জ্বালানোর অনেক উপকারিতা রয়েছে। এর সুগন্ধ ব্যক্তির মনে সুখ ও মানসিক প্রশান্তি আনে। পুজোর সময় ধূপকাঠি পোড়ানোর এটি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।



৩। ঈশ্বরকে খুশি করে: প্রাচীন হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে, হিন্দু দেবতারা ধূপ পছন্দ করেন। তাই, এটা বিশ্বাস করা হয় যে ঈশ্বরের উপাসনার সময় ধূপ জ্বালানো তাদের সন্তুষ্ট করে এবং তাদের আশীর্বাদ পেতে সাহায্য করে।



৪। মানসিক চাপ দূর করে: আপনার যদি সারাদিনে কোনো ধরনের মানসিক চাপ বা টেনশন থাকে, তাহলে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করার সময় ধূপকাঠি জ্বালিয়ে তা দ্রুত দূর করতে সাহায্য করে। ১৫  মিনিটের জন্য একটি জ্বলন্ত ধূপকাঠির দিকে তাকিয়ে ধ্যান করা সমস্ত চাপ দূর করতে সাহায্য করতে পারে।


 


DISCLAIMER: এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা জরুরী যে ABP কোনো ধরনের বিশ্বাস বা তথ্যকে সমর্থন করে না। কোন তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, অনুগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।