ডায়াবেটিক। মানে ভাত খাওয়া বাদ ? নাহ। ভুল। মধুমেহ আক্রান্ত হলেও খাওয়া যেতে পারে ভাত। এমনকী দিনে তিনবার পর্যন্ত। কিন্তু জানতে হবে, করটুকু খাবেন, কীভাবে খাবেন । ডায়াবেটিস মানেই সব খাওয়া দাওয়া বন্ধ ? আম-কলা-মিষ্টি সব বাদ ? নাহ, সারাজীবন সব খাবার দাবার বাদ দিয়ে কেউ বাঁচতে পারেন না। তাই , মনের তৃপ্তির জন্য ডায়াবেটিকদেরও সামান্য পরিমাণে আম-কলার মতো ফল ফলও খাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু সেটা খেলে সারাদিনে অন্য খাওয়া-দাওয়া গুলি ম্যানেজ করতে হবে। কীভাবে? সেটা বলে দেবেন আপনার পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসক। এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায় ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট ড. অনন্যা ভৌমিক। 


ভারত এখন ডায়াবেটিক ক্যাপিটাল। ঘরে ঘরে মধুমেহ রোগ। কিন্তু  প্রত্যেক রোগীর শরীরের পরিস্থিতি আলাদা। ব্লাগড সুগারের লেভেলও আলাদা। তাই কোনও জেনারেল ডায়েট চার্ট এক্ষেত্রে ফলো করা ঠিক নয়। ড. ভৌমিকের কথায়, ডায়াবেটিস রোদৃগীদের জন্য চার্ট হবে পার্সন-স্পেসিফিক। 


মনে রাখতে হবে, কারও হয়ত খুব হাই সুগার ধরা পড়ল। ফাস্টিং, পিপি - সব ক্ষেত্রেই স্বাভাবিকের থেকে বেশ উঁচুতে ব্লাডসুগার লেভেল। তখন কি করবেন ?



  • তখন কিন্তু সত্যিই অনেক খাবার খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে। 

  • মিষ্টি জাতীয় খাবার সরাসরি খাওয়া ও রান্নায় চিনি দেওয়া বন্ধকরতে হবে। 

  • অতিরিক্ত মিষ্টি ফল., যেমন আম, কলা, কাঁঠাল বাদ রাখতে হবে। 

  • আলু খাওয়াও বারণ। 

  • তবে ভাত খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে এমনটা একে বারেই নয়। 

  • ভাত দিনে তিনবারও খাওয়া যায়। তবে পরিমাণটা বেণধ দেবেন পুষ্টিবিদই। 

  • ধীরে ধীরে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এলে, অল্প অল্প করে উপরে উল্লিখিত খাবারগুলি খাওয়া যেতে পারে, তবে সেটা এক্কেবারে পরিমাণ মেপে। সেই পরিমাণটা ঠিক করে দেবেন পুষ্টিবিদই। 

    খুব মিষ্টি খেতে ইচ্ছে হলে ? 
    হ্যাঁ। ডায়াবেটিক হলেও মিষ্টি খাওয়া যায়। জানালেন ড. অনন্যা। তবে একটুকরো মিষ্টি খেলে, তা অবশ্যই সকালের দিকে খাওয়া ভাল। রাতের দিকে ন। যাতে সারাদিনের ডায়েটটা তেমন ভাবে ম্যানেজ করে নেওয়া যায়। বা বেশ কিছুটা হাণটাচলা বা শারীরিক কসরত করে ফেলা যায়। 

    ডায়াবেটিক মানে ভাত বাদ ? 
    না। ডাই ডায়াবেটিকরাও ভাত খেতে পারেন। একাধিকবার খেতে পারেন। তবে পরিমানটা ঠিক জানতে হবে। যত খুশি তত খাওয়া যাবে না। 
    এবিপি লাইভকে অনন্যআ জানালেন, যখন প্রথম কেউ ডায়াবেটিসের সমস্যা নিয়ে পুষ্টিবিদের কাছে আসেন, তখন বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, তাঁদের প্যারামিটারগুলি স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই উঁচুতে । তাই শুরুটা কড়াকড়ি দিয়ে করতেই হয়। তাই দরকার

  • প্রতিবছর ডাক্তারের কাছে যাওয়া

  • কিছু কিছু উপসর্গ দেখে সতর্ক হতে হবে। 

    কীভাবে বোঝা যাবে ?

  • হঠাৎ ঘেমে মেয়ে একাকার ?

  • শরীর আনচান ?

  • বারবার প্রস্রবাব পাচ্ছে?

  • বারবার জল তেষ্টা পাচ্ছে ?

  • শরীর দুর্ব লাগছে ?

    সতর্ক থাকুন। এই ওয়ার্নিং সাইনগুলি দেখলেই সতর্ক হোন। পুষ্টিবিদের সাহায্য নিন। ডায়াবেটিসকে নিজের হাতে জয় করুন !