কলকাতা : ডায়াবেটিস কঠিন অসুখ। কিন্তু তা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। খুব উচ্চ শর্করার মাত্রাও খাবার ও  জীবনযাত্রার পরিবর্তন করলে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।  ডায়াবিটিস হলে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার কম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা। তাই ডায়েবেটিস ধরা পড়লে অনেকে কষ্ট করেই  ভাত এড়িয়ে চলেন। কিন্তু ভাত ছাড়া বাঙালির দিনযাপন বড়ই কষ্টকর। ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিষ্ট ড. অনন্যা ভৌমিক জানাচ্ছেন, ডায়াবিটিস হলেও ভাত খাওয়া যেতে পারে। একবার নয়, বারবার। তবে জানতে হবে সঠিক মাপ। 


 টাইপ ২ ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমাতে ভাত কম খান অনেকেই। ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিষ্ট ড. অনন্যা ভৌমিকের মতে, হাই ডায়াবেটিকরাও ভাত খেতে পারেন। একাধিকবার খেতে পারেন। তবে পরিমানটা ঠিক জানতে হবে। যত খুশি তত খাওয়া যাবে না। তবে কে কতটুকু খেতে পারেন, তা একেবারেই ব্যক্তিনির্ভর। 

এবিপি লাইভকে অনন্যা জানালেন, যখন প্রথম কেউ ডায়াবেটিসের সমস্যা নিয়ে পুষ্টিবিদের কাছে আসেন, তখন বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, তাঁদের প্যারামিটারগুলি স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই উঁচুতে । তাই শুরুটা কড়াকড়ি দিয়ে করতেই হয়। পরে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এলে ধীরে ধীরে নিয়ম একটু শিথিল করা যেতে পারে।



  • খুব মিষ্টি খেতে ইচ্ছে হলে ? 
    হ্যাঁ। ডায়াবেটিক হলেও মিষ্টি খাওয়া যায়। জানালেন ড. অনন্যা। তবে একটুকরো মিষ্টি খেলে, তা অবশ্যই সকালের দিকে খাওয়া ভাল। রাতের দিকে ন। যাতে সারাদিনের ডায়েটটা তেমন ভাবে ম্যানেজ করে নেওয়া যায়। বা বেশ কিছুটা হাঁটাচলা বা শারীরিক কসরত করে ফেলা যায়। 

    মনে রাখতে হবে, ভারত এখন ডায়াবেটিস ক্যাপিটাল। তবে ডায়াবেটিস ক্রনিক অসুখ এবং নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তবে ঠিক মতো নিয়ম না মানলে এই ডায়াবেটিস ম্যানেজমেন্ট কঠিন হতে পারে। বিশেষ করে যাঁদের শরীরে শর্করার মাত্রা ওঠানামা করে।  টাইপ 2 ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বেশিরভাগ রোগীর জন্য তাদের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা চ্যালেঞ্জিং।