কলকাতা :  রাজ্যে ফের মারাত্মক হারে বাড়ছে করোনা। শনিবারের হেল্থ বুলেটিন বলছে, রাজ্যে একদিনে আক্রান্ত ২ হাজার ৯৬৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। টানা ৫ দিন ধরে সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। বেশিরভাগ রোগীই এবার বলছেন, অন্যান্য উপসর্গ তেমন বাড়াবাড়ি না হলেও, সেরে ওঠার পর ক্লান্তি ভোগাচ্ছে খুবই। এই দুর্বলতা কাটিয়ে কাজে ফেরাই হচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই ডায়েটে দিতে হবে বিশেষ নজর। 


 খাওয়া দাওয়া ভাল করে করলে মন ও শরীর দুই-ই ভাল থাকবে। এই সময় শরীরের প্রয়োজন বেশি করে ফ্লুইড। কোভিড মানেই যে খুব বেশি বেশি করে খেতে হবে, তা কিন্তু নয়। শরীরকে ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি দিতে হবে। তাই ঠিক খাবার বেছে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। তাঁর মতে, করোনাকালে বেশি-বেশি নয়, বারবার খেতে হবে। ঠিক খাবার বেছে নিতে হবে। সাধারণ মানুষ নিজের বাড়ির রান্নাঘরে গিয়েই পেয়ে যাবেন শরীরের প্রয়োজনীয় খাবারটুকু। কিন্তু, যাঁদের কমর্বিডিটিস আছে, বা কোনও দৈনিক ওষুধ খান, তাঁদের ডায়েট সম্পর্কে ডাক্তারকে আগে জিগ্যেস করে নিতে হবে। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন, ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট ড. অনন্যা ভৌমিক । 


২.৫ - ৩ লিটার জলীয় জিনিস


বেশি করে ফ্লুইড খেতে হবে। তার মানে যে জলই খেতে হবে , এমন নয়। নানা রকমের তরল খাওয়া যেতে পারে। তবে অবশ্যই অ্যালকোহল নয়। পুষ্টিবিদ জানাচ্ছেন, ২.৫ - ৩ লিটার জলীয় জিনিস খাওয়া দরকার। শুধু জল নয়, খেতে পারেন শরবত, ফলের রস, চা, কফি, স্যুপ , জুস ইত্যাদি। 


ডাল ভাত খান

এই সময় প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া খুব জরুরি । করোনা আক্রান্ত হলে ভাল করে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া খুব জরুরি। তবে প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট নয়, রোজকার খাবার থেকে প্রোটিন সংগ্রহ করুন। বেছে নিতে পারেন ডাল ভাত। এতে প্রচুর পরিমাণে এসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিড (essential amino acids) আছে।  যা প্রোটিন কনটেন্ট তৈরি করে। তাই ভাত-ডাল-খিচুড়ি খেতে পারেন। 


মরসুমী সবজি খান

দিনে ২ টি করে ফল খান। দামী কোনও ফল খাওয়ার দরকার নেই। নিজের পছন্দের যে কোনও ফল খেতে পারেন। সঙ্গে মরসুমী সবজি খান।স্যুপ তৈরি করে বা তরকারিতে দিয়ে খেতে পারেন। স্যালাডও খেতে পারেন। যে কোনও খাবারের উপর ছড়িয়ে নিন ঘি। সুস্বাদুও লাগবে, উপকারও হবে। 




ডাল সিদ্ধে পুষ্টি
এই সময় ডাল সিদ্ধ খাওয়া খুব উপকারী। ভাতের সঙ্গে কাপড়ে বেঁধে ডাল সিদ্ধ করে নিন। এরপর ভাগে ভাগে  ৪-৫ চামচ ডাল খেতে পারেন। যে কোনও খাবারে দুধের পাউডার মিশিয়ে খাবার খান। বিভিন্নরকম বাদাম গুঁড়ো করে রাখতে পারেন। বিভিন্ন খাবারে মিলিয়ে খেতে পারেন। বিভিন্ন রকম ভিটামিন ও মিনারেলের গুরুত্ব আছে, শরীর ঠিক রাখতে, প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে।