কলকাতা: শীত হলো নানা ধরনের শাক-সবজির মৌসুম। এসময় রং-বেরঙের সবজি আর শাক পাবেন। সবকিছুর ভিড়ে একটি পাতা আপনার চোখের আড়ালেই থেকে যায় হয়তো। সেটি হলো রসুন পাতা। 


এটি যে অত্যন্ত উপকারী, তা অনেকে জানেই না। রসুনের পাতা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্যে ভরপুর। এতে আছে ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো পুষ্টি। শীতে রসুনের পাতা খাবারের তালিকায় রাখলে নানাভাবে উপকার পাবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক এর উপকারিতা সম্পর্কে-


শীতের সময়ে বিভিন্ন অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। কিন্তু আপনি যদি রসুনের পাতা খেতে পারেন তাহলে অনেক অসুখ থেকে দূরে থাকা সহজ হবে। এতে থাকা ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করবে, মৌসুমী অসুস্থতার বিরুদ্ধে একটি ঢাল হিসেবে কাজ করবে।


রসুনের পাতা আপনার হজমের জন্য বিস্ময়করভাবে কাজ করবে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পেটে গ্যাসের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। স্বাস্থ্যকর অন্ত্রের জন্য এই সময়ে রসুনের পাতা রাখতে পারেন।


রসুনের পাতা হার্ট ভালো রাখতে কাজ করে। ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাস সমৃদ্ধ এই পাতা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এতে হার্ট ভালো রাখা সহজ হয়।


ওজন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে আপনার খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন রসুনের পাতা। এটি কম ক্যালোরি এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, যা আপনার পেট দীর্ঘ সময় ভরিয়ে রাখতে কাজ করবে। এতে বারবার খাবার খাওয়ার প্রয়োজন হবে না। ফলে আপনার ওজন কমানোর যাত্রা সহজ হবে।


আরও পড়ুন, পায়ের চামড়ার নিচে নীলাভ ছাপ? জট পাকানো শিরা? কঠিন পরিণতি নিয়ে আসতে পারে ভ্যারিকোজ ভেন


রসুনের পাতার জাদু দিয়ে জয়েন্টের ব্যথা দূর করুন। ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থে ভরপুর রসুনের পাতা রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে, যারা ব্যথাযুক্ত জয়েন্টগুলোতে উপশম দেয়। রসুনের পাতা পেঁয়াজ পাতার মতো একইভাবে খেতে পারেন। এটি দিয়ে ভাজি, ভর্তা, স্যুপ, ঝোল ইত্যাদি তৈরি করে খেতে পারেন। পাস্তা এবং মাংসের স্বাদ বাড়াতেও রসুনের পাতা ব্যবহার করতে পারেন।


ডিসক্লেমার: এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এবিপি লাইভ কোনও ধরনের বিশ্বাস, তথ্য সমর্থন করে না। কোন তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।