Summer Skin Care: গরমকালে ত্বকের যত্নে অতি অবশ্যই নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু সেটাই যথেষ্ট নয়। গরমের মরশুমে ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে চাইলে করতে হবে আরও অনেক কিছুই। আর সযত্নে এড়িয়ে চলতে হবে বেশ কয়েকটি অভ্যাস। গরমকালে সানস্ক্রিনের ব্যবহার ছাড়াও ত্বকে আর কী কী করা প্রয়োজন, রইল তারই একটি তালিকা। 

  • গরমের দিনে নিয়মিত ত্বকে স্ক্রাব করুন। ঘরোয়া উপকরণের সাহায্যে স্ক্রাব করতে পারলে ভাল। দুধের সর, হলুদ, মধু, অলিভ অয়েল মিশিয়ে সেই মিশ্রণ দিয়ে স্ক্রাব করতে পারেন। মেশাতে পারেন টক দইও। ট্যানের সমস্যা দূর হবে অল্পদিনেই। 
  • গরমকালে ত্বকে ক্রিম, ময়শ্চারাইজার ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তবে একটু হাল্কা ধরনের ক্রিম কিংবা ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করলে ভাল। নাহলে ঘামের জেরে ত্বক চিটচিটে হয়ে যেতে পারে। 
  • সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার স্ক্রাব করুন গরমকালে। আর স্ক্রাবিংয়ের পর কিন্তু ময়শ্চারাইজার বা ক্রিম লাগাতে ভুলবেন না। নাহলে ত্বক খুব রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে যাবে। 
  • গরমের মরশুমে সহজেই ত্বকে ট্যান পড়ে যায়। মুখে এবং গলার অংশে ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন, যার সাহায্যে কালচে দাগছোপ সহজে দূর হবে। টক দইয়ের সঙ্গে অল্প একটু হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে মেখে নিলেই অনেক উপকার পাবেন। 
  • যাঁদের ত্বক এমনিতেই রুক্ষ, শুষ্ক প্রকৃতির তাঁরা গরমের দিনে ফেস মাস্ক ব্যবহার করুন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মিনিট ১৫ মুখে ওই ফেস মাস্ক লাগিয়ে রাখুন। তারপর ঠান্ডা জলে মুখে ধুয়ে ঘুমোতে যান। ত্বক থাকবে মোলায়েম এবং উজ্জ্বল। 
  • গরমকালে অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে অনেক সময়েই জ্বালা ভাব অনুভূত হয়। এই ক্ষেত্রে ফেস মিস্ট ব্যবহার করলে উপকার পাবেন সবচেয়ে বেশি। ত্বকে একটা ঠান্ডা অনুভূতির সঙ্গে অনেকটা রিফ্রেশ লাগবে আপনার। 
  • বছরের অন্যান্য মরশুমের মতোই গরমকালেও ভালভাবে ত্বক পরিষ্কার রাখা জরুরি। নাহলে নোংরা জমে ব্রনর সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর পাশাপাশি হতে পারে র‍্যাশ, চুলকানিও।
  • যেহেতু গরমে ঘাম হয় বেশি, তাই ত্বকের কিছু অংশ নির্দিষ্ট ভাবে পরিষ্কার করা জরুরি। যেমন মুখের ক্ষেত্রে নাকের চারপাশ পরিষ্কার করে রাখা উচিৎ। 
  • গরমকালে সেনসিটিভ স্কিনের ক্ষেত্রে অনেক সময়েই বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এইসব সমস্যা অবহেলা না করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। নইলে ত্বকের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। 

ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।