Fasting Side Effects: ডিহাইড্রেশন, অর্থাৎ আমাদের শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিলে স্বাস্থ্যে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। শরীরে জলের পরিমাণ স্বাভাবিক মাত্রার তুলনায় কমে গেলে তা কখনই ভাল নয়। ডিহাইড্রেশনের জেরে বদহজম, অ্যাসিডিটি, গ্যাসের সমস্যা মারাত্মক আকার নিতে পারে। ডিহাইড্রেশন অর্থাৎ জলের ঘাটতির কারণে ডায়েরিয়ার মতো জটিল সমস্যাও হতে পারে। অতএব প্রতিদিন সঠিক পরিমাণে জল খাওয়া জরুরি।   

  


কিন্তু শুধু জল খেলেই কি ডিহাইড্রেশনের সমস্যা কমবে ? কখন সবচেয়ে বেশি ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দেয় ?     


আমাদের শরীরে সবচেয়ে বেশি জলের ঘাটতি হতে দেখা বিভিন্ন উপোস করার ফলে। জল না খেয়ে অনেকেই উপোস করেন বিভিন্ন কারণে। এর ফলে শরীরে গুরুতর ভাবে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা যায়। এছাড়াও উপোস মানেই দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকা। এর জেরে গ্যাসের সমস্যা, মাথায় ব্যথা - এইসব সমস্যার উদ্রেক হয়।           



  • উপোস করল বেশিরভাগ সময়েই শরীরে জলের ঘাটতি হতে পারে যার ফলে মারাত্মক ভাবে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হতে পারে। তাই এইসব উপোস করার বিষয় এড়িয়ে চলুন। একান্তই করলে জল, ফলের রস, লেবুজল, চা এসব অন্তত খাওয়ার ব্যবস্থা রাখুন। 

  • তবে উপোসের মধ্যে থাকলে জল খাওয়ার কিছু বিশেষ নিয়ম রয়েছে। সেগুলি মেনে চললে সুস্থ থাকবেন আপনি।উপোস করলে মাঝে মাঝে জল খেতে হবে। একবারে অনেকটা জল খেলে খালি পেটের কারণে গা-গোলাতে পারে। 

  • অল্প অল্প করে জল খেতে হবে উপোস করলে। সম্ভব হলে গ্লাসে মেপে জল খাওয়া ভাল। উপোস করার সময় খুব ঠান্ডা কিংবা খুব গরম জল খাবেন না। উপোসের পর ঈষদুষ্ণ জল খেতে পারেন। উপকার পাবেন। 

  • উপোস করলে অন্তত ৩০ মিনিট অন্তর অল্প করে জল খেতে পারলে ভাল। শরীরে তাহলে জলের ঘাটতি দেখা দেবে না। উপোসের দিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল খেতে হবে। উপোস ভাঙার পরেও জল খেতে হবে। নাহলে ঘাটতি থেকে যাবে শরীরে। 

  • নির্জলা উপোস করতে যাবেন না। এর ফলে শরীরে অত্যন্ত খারাপ হতে পারে। অতএব উপোস করলেও মাঝে মাঝে জল খাওয়া প্রয়োজন। 


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।