কলকাতা : আপনি কি নিম্নে উল্লিখিত উপসর্গগুলিতে ভুগছেন ?
- পেট ফুলে যাওয়া ( Abdominal swelling)
- ত্বকের নিচে থাকা ব্লাড ভেসেল ফুলে যাওয়া (Enlarged blood vessels just beneath the skin's surface)
- প্লীহা বেড়ে যাওয়া ( Enlarged spleen)
- হাতের পাতা লাল হয়ে যাওয়া (Red palms)
- অনেক ক্ষেত্রে চোখে হলুদ ভাব (Yellowing of the skin and eyes)
উৎসবের মরসুমে দেদার খাওয়া-দাওয়া করছেন ? শরীর নিয়ে কুছ পরোয়া নেহি ? কিন্তু উপরের লক্ষণগুলি যদি দেখা দেয়, অবশ্যই সতর্ক হোন। আর দেরি না করে কোনও ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট বা ডাক্তারের পরামর্শ নিন। কারণ এগুলি প্রতিটিই ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ ! বিস্তারিত আলোচনায় ড. অনন্যা ভৌমিক ( ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট )।
জীবনশৈলিতে পরিবর্তন আর খাবার দাবারে রাশ টানা ছাড়া এ রোগের চিকিৎসা নেই। আর ফেলে রাখলে ফ্যাটি লিভার গ্রেড ওয়ান, টু পেরিয়ে আরও বেঁকে বসতে দেরি করবে না ।
ফ্যাটি লিভার কী
শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ লিভার । টক্সিন শরীর থেকে ছেঁকে বের করে লিভার। লিভার খারাপ হলে বিরাট বিভ্রাট ! লিভারের কোষের ভাঁজে ভাঁজে অতিরিক্ত ফ্যাট জমলেই বলা হয় ফ্যাটি লিভার সিনড্রোম । অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে
হয় অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার, তবে বাকিদের সমস্যা নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের।
প্রথমেই জানা যাক কাদের এরোগের ঝুঁকি বেশি
. আপনি কি স্থূলকায়?
. রোজ হজমের সমস্যা?
. পেটের উপরের দিকে ব্যথা?
. ডায়াবেটিক?
. সারাদিন বসে কাজ?
. বাইরের খাবার বেশি খান? সতর্ক থাকুন
কীভাবে ধরা পড়বে রোগ ?
ডাক্তার আপনার উপসর্গ অনুসারে কিছু পরীক্ষা করাতে দেবেন। দিতে পারে পুরো অ্যাবডোমিনের USG করতেও।
- ফ্যাটি লিভার কীভাবে সারবে?
- সঠিক ডায়েট
- জীবনশৈলিতে পরিবর্তন
- ৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরি
- নিয়ম করে দৈনিক ৩ লিটার জল খান
- পেট খালি নয় !
- কম কম খান, বারবার খান
- ৪৫ মিনিট হাঁটুন
কোন খাবার নয় ?
- ভাজাভুজি
- ঘি, মাখন, চিজ
- মদ্যপান
- মিষ্টি
- পাঁঠার মাংস
কোন কোন খাবার খিদে পেলেই খাওয়া যেতে পারে ?
- কয়েকটি আমন্ড
- কয়েকটি আখরোট
- একটু মশলা মুড়ি, চানাচুর বা ঝুরিভাজা ছাড়া
- একটু চিঁড়ে
- গোটা ফল
- ওটস ও ফলের মিশ্রণ
- স্যালাড