High Blood Sugar: ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য খাওয়া-দাওয়ায় রাশ টানা যেমন জরুরি, তেমনই আরও একটি বিশেষ কাজ করা জরুরি। হাই ব্লাড সুগার থাকলে পায়ে খুব সহজে ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমাদের গাফিলতির জন্য সংক্রমণ হয়। আর খুব দ্রুত তা মারাত্মক আকার নিতে পারে। সামান্য ইনফেকশন থেকে জটিল রোগ হয়ে যেতে পারে। অতএব ডায়াবেটিসের রোগীদের বিশেষভাবে পায়ের যত্ন নেওয়া উচিৎ, পরিষ্কার রাখা জরুরি। ব্লাড সুগারের মাত্রা বেশি থাকলে পায়ে যাতে ইনফেকশন না হয়, তার জন্য কীভাবে যত্ন নেবেন, পরিষ্কার রাখবেন, দেখে নিন একনজরে। 

  • পায়ের নখ বাড়তে দেবেন না। নখ কেটে ছোট করে রাখুন। এর ফলে নখের ভিতর ময়লা জমতে পারবে না। এছাড়াও নখের ভিতর অতিরিক্ত কোনও বৃদ্ধি কিংবা মাংসপিণ্ড তৈরি হতে পারে। চোট, আঘাতের সম্ভাবনাও কমবে। 
  • নিয়মিত পা পরিষ্কার করুন। বাড়ির বাইরে গেলে তো অতি অবশ্যই। গরম জলে লিকুইড সাবান কিংবা শ্যাম্পু মিশিয়ে নিন। তারপর সেই জলে খানিকক্ষণ পা ডুবিয়ে বসে থাকুন। এরপর লুফা দিয়ে কিংবা ব্রাশ দিয়ে ভালভাবে ঘষে পায়ের তলা, গোড়ালির অংশ, নখের চারপাশ এবং আঙুলের ফাঁকগুলি পরিষ্কার করতে হবে। 
  • পা পরিষ্কার করা হয়ে গেলে নরম তোয়ালে কিংবা গামছা দিয়ে শুকনো করে পা মুছে নিতে হবে। বিশেষ করে খেয়াল রাখবেন, পায়ের নীচে এবং আঙুলের ফাঁকে যেন জল জমে না থাকে। পায়ের কোনও অংশ ভেজা থাকলে ইনফেকশন হতে পারে। 
  • ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে পা পরিষ্কার রাখা খুবই জরুরি। তাই খালি পায়ে কখনই হাঁটবেন না। বাড়িতেও পায়ে জুতো পরে থাকুন। আর বাইরে বেরনোর জুতোও এমন পরুন যেটায় আপনি পায়ে আরাম পাবেন, হাঁটতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন। এমনিতেও ঘরের ভিতরে খালি পায়ে না হেঁটে, চটি পরে হাঁটা সকলের জন্যই ভাল। পায়ের তলায় নোংরা লাগবে না। পা পরিষ্কার থাকবে। চোট, আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। এমনকি পা ফাটার সমস্যাও কমবে। 
  • হাই ব্লাড সুগারের রোগীরা পায়ের উপরে অর্থাৎ পায়ের পাতায় ময়শ্চারাইজার, ক্রিম লাগাতে পারেন। তবে পায়ের নীচের অংশে ক্রিম ব্যবহার করবেন না। এর পাশাপাশি পায়ের তলায় সামান্য চোট, আঘাত লাগলেও অবহেলা করবেন না। ডায়াবেটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে কিন্তু সামান্য কাঁটাছেঁড়া, ক্ষতই মারাত্মক সংক্রমণের আকার নিতে পারে। তাই সাবধান থাকা প্রয়োজন। 

ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।