কলকাতা: আধুনিক জীবনযাপনে নানা দিক থেকেই বদল এসেছে। তার মধ্যে অন্যতম হল খাওয়াদাওয়া। জাঙ্ক ফুড, ফাস্ট ফুড, কোল্ড ড্রিঙ্কস জাতীয় খাবার আমাদের শরীরের বিভিন্ন ক্ষতি করে। এর মধ্যে অন্যতম একটি রোগ হল গল ব্লাডার স্টোন। আমাদের অজান্তেই শরীরে এই রোগটি বাসা বাঁধতে শুরু করে। যে কয়েকটি প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দেয়, সেগুলি অনেকেই এড়িয়ে চলেন। ঠিক কী কী কারণে গল ব্লাডারে স্টোন দেখা দিতে পারে?
গল ব্লাডারে স্টোন কেন হয় (Gallbladder stone cause)?
আমাদের লিভারে কিছু নির্দিষ্ট কোলেস্টেরল থাকে। এই কোলেস্টেরল আমাদের পাচক রস (Bile)-এর সঙ্গে মিশে যায়। বাইল যত ইচ্ছে কোলেস্টেরল মিশে যেতে পারে না। ফলে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলে তা শক্ত হয়ে জমাট বাঁধতে শুরু করে। এটিই পাথরের আকারে জমা হয় গল ব্লাডারে। এছাড়াও বিলিরুবিনের পরিমাণ বেড়ে গেলে বা বাইল সল্টের পরিমাণ কমে গেলে এই সমস্যা হতে পারে।
কোন কোন খাবার এর জন্য দায়ী (Foods increase Gallbladder stone risk)?
গল ব্লাডার স্টোনের পিছনে বড় ভূমিকা রয়েছে আমাদের খাদ্যাভাসের। বেশ কিছু নির্দিষ্ট খাবার এই সমস্যার জন্য দায়ী থাকে।
- স্যাচুরেটেড ফ্যাট: এর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে স্যাচুরেটেড ফ্যাট জাতীয় খাবার। এর মধ্যে পড়বে রেড মিট যেমন পাঁঠার মাংস, শূকরের মাংস ইত্যাদি। স্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।
- রিফাইনড সুগার: প্রসেসড খাবারদাবারে এই বিশেষ চিনি বেশি পরিমাণে থাকে। প্রসেসড খাবারের মধ্যে কেক, লজেন্স, কোল্ড ড্রিঙ্কস, আইসক্রিম ইত্যাদি খাবারগুলি পড়ে। এছাড়া দোকান থেকে কেনা দইয়ের মধ্যেও এই চিনি থাকে।
- ফাইবার জাতীয় খাবার কম খেলে: ফাইবার জাতীয় খাবার প্রায়ই আমাদের পাতে থাকে না। তার জায়গা দখল করে থাকে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার কম খেলে গল ব্লাডার স্টোন দেখা দেয়।
গল ব্লাডার স্টোনের উপসর্গ কী (Gallbladder stone symptoms)?
- হঠাৎ পেটের ডানদিকে ব্যথা: পেটের ডানদিক জুড়ে হঠাৎ করেই ব্যথা হতে শুরু করে। এই ব্যথা বেশ তীব্র হয়।
- মাঝখানে ব্যথা: পেটের ঠিক মাঝামাঝি জায়গাতেও এই ব্যথা হতে পারে। পাঁজরের নিচে তীব্র ব্যথা হয় গল ব্লাডার স্টোন হলে।
- ডান কাঁধের দিকে ব্যথা: পিত্তথলিতে পাথর জমলে এই ব্যথা ডান কাঁধ পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়।
- বমি ও মাথাঘোরা: পিত্তথলির পাথর জমলে বমির লক্ষণও দেখা দিতে পারে। এছাড়াও মাথা ঘুরতে পারে।
ডিসক্লেমার : সবার স্বাস্থ্যের ধরণ সমান নয়। তাই উল্লেখিত পরামর্শ প্রয়োগের আগে বিশেষজ্ঞ বা চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিন।
আরও পড়ুন: Cancer preventive diet: পাতের খাবারই জানে ক্যানসারের সবকিছু ! সুস্থ থাকতে কী কী না খেলেই নয় ?