কলকাতা : প্রাচীন ভারতে গুরু-শিষ্যের সম্পর্ক বহু নন্দিত। শিষ্য ও গুরুর সম্পর্কের উদযাপন হওয়ার বিধি  রয়েছে সারা ভারতেই। ভারতীয় সংস্কৃতিতে গুরু যে শিষ্যের কাছে  কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝা যায় রামায়ণ-মহাকাব্যের কাহিনি থেকেও।   ছাত্র-শিক্ষক পরম্পরাকে উদযাপন করার দিন গুরুপূর্ণিমা (Guru Purnima 2022 )। 
আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথিতে ‘গুরুপূর্ণিমা‘ উদযাপন করা হয়। গুরু শব্দর অর্থ যিনি অন্ধকার দূর করেন। তমসা থেকে জ্যোতির পথে দিশা দেখান গুরু। তাই তো গুরু বন্দনায় বলা হয়, অজ্ঞান তিমিরান্ধস্য জ্ঞানাঞ্জন শলাকয়া। চক্ষুরুন্মীলিতং যেন তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ।। 



বৌদ্ধ ধর্ম মতে, বোধি লাভের পরে আষাঢ় মাসের পূর্ণিমায় প্রথম উপদেশ দেন তথাগত বুদ্ধ । তাই গুরুপূর্ণিমায় বুদ্ধদেবের পুজোও হয়। গুরুবন্দনা মন্ত্র অনুযায়ী জীবনে গুরুই হলেন ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর। তাই গুরুকে পুজো করুন এই মন্ত্রে। 


গুরুর্ব্রহ্মা গুরুর্বিষ্ণুঃ গুরুর্দেবো মহেশ্বর ।
গুরুরেব পরংব্রহ্ম তস্মৈ শ্রীগুরবে নমঃ ॥

গুরু পূর্ণিমার দিন যে নিয়মগুলি মানলে ভাল : 



  • গুরুকে বন্দনা করতে চাই অন্তরের ভক্তি। বাহ্যিক আড়ম্বর অনেকটাই গৌণ।

  • এদিন গুরুর কাছে সবথেকে বড় প্রাপ্তি হল, শিষ্য যদি তাঁর আদর্শ সঠিক ভাবে পালন করেন। 

  • শাস্ত্র মতে , দেবাদিদেব মহাদেব এই তিথিতে সপ্তর্ষিকে মহাজ্ঞান দেন। তাই এদিনে আদিগুরু মহাদেবেরও পুজো হয়। 

  • গুরুপূর্ণিমায় নিরামিষ খাওয়া শুভ বলে বিশ্বাস। 

  • আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথিতে অনেকেই সত্য নারায়ণ পুজো করেনয 

  • গুরুপূর্ণিমায় গঙ্গা স্নান করার বিশেষ মাহাত্ম্য আছে।  কিছু দান করলে মেলে পূণ্য।