নয়াদিল্লি : একদিকে বঙ্গজুড়ে অ্যাডিনোভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত, অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন অংশে জাঁকিয়ে বসছে মরসুমি জ্বর। দিল্লি এবং এর পার্শ্ববর্তী শহরগুলির কয়েকশ বাসিন্দা নতুন ধরনের ভাইরাসে ভুগছেন। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR) জানিয়েছে,  এই  ফ্লু-টি ঘটাচ্ছে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের এই টাইপ। ক্রমাগত জ্বর, সর্দি, কাশি, মাথাব্যথা এবং শ্বাসকষ্টের মতো লক্ষণ নিয়ে আসছে জ্বরটি। ICMR মনে করছে, এই লক্ষণগুলি সাধারণ ঋতুবদলের জ্বরের নয়।  সাথে সম্পর্কিত নয়। 


ICMR এর বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, এই উপসর্গগুলি ইনফ্লুয়েঞ্জা A সাবটাইপ H3N2 র জন্য দেখা দিচ্ছে। এই H3N2 গত দুই-তিন মাস ধরে ব্যাপকভাবে থাবা বিস্তার করেছে। অন্যান্য ভাইরাসের তুলনায় এটি বেশি মারাত্মক।এর জন্য হাসপাতালে ভর্তিও হতে হচ্ছে অনেককে। 


একটু বেশি জ্বর বাড়লো তো অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ কিনে খেয়ে নেওয়া এখন অনেকের অভ্যেস। সর্দি-কাশিতে নাজেহাল হলেই দোকান থেকে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ কিনে খেয়ে নেন অনেকেই । কিন্তু সেটি এই ইনফ্লুয়েঞ্জার ক্ষেত্রে করবেন না। সম্প্রতি IMA একটি নির্দেশিকা জারি করে চিকিৎসকদের বলেছেন, সর্দি জ্বর হলেই অ্যান্টিবায়োটিকস না দিতে। 


 






উপরের এই ট্যুইটে অ্যাটাচ করা নির্দেশিকায় এই সিজনাল ফ্লু সারানোর জন্য রোগীকে অ্যান্টিবায়োটিকস দিতে ডাক্তারদের বারণ করছে আইএমএ। শরীরে উচ্চ তাপমাত্রা, বমি বমি ভাব, কাশি, এগুলি সিজনাল ফ্লু এর লক্ষণ। তবে অনেকেই জ্বর তাড়াতাড়ি সারানোর জন্য অ্যান্টিবায়োটিকস খেয়ে নেন। কিন্তু তাতে হিতে হচ্ছে বিপরীত মনে করছে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) H3N2 ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের দরুণ এখন এই জ্বর হচ্ছে অনেকেরই। তিনদিন থাকছে জ্বর। বড় জোর এক সপ্তাহেই সেরে উঠছে রোগী। আইএমএ - র মতে, ইদানীং অ্যাজিথ্রোমাইসিন, অ্যামোক্সিক্লাভ জাতীয় ওষুধ মুড়ি মুড়কির মতো খাচ্ছেন অনেকে । এর ফলে তৈরি হতে পারে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স। অর্থাৎ আসল প্রয়োজনেই কাজ করছে না অ্যান্টি বায়োটিকস।


আই এম এ আরও জানিয়েছে, অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ শুধুমাত্র ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট অসুখের ক্ষেত্রেই কাজ করে ভাইরাস বাহিত অসুখে নয় ! এই সূক্ষ্ম পার্থক্য টাই মানুষ বোঝেন না ।  অনেক ক্ষেত্রে ভাইরাল ইনফেকশনেও অ্যান্টিবায়োটিক ড্রাগ খেয়ে নেন অনেকে । এর ফলে হিতে বিপরীত হতে পারে । অ্যামোক্সিসিলিন, নরফ্লক্সাসিন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন, অফলোক্সাসিন, লেভোফ্লক্সাসিন ইত্যাদি অ্যান্টিবায়োটিকসও মুড়ি মুড়কির মতো খেয়ে বিপদ ডেকে আনছেন অনেকেই। এই পরিস্থিতিতে ডাক্তারদের উপসর্গ অনুসারে ওষুধ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে আইএমএ।