Hair Care Tips: টকদই (Curd) শুধু খেলেই উপকার পাবেন তা কিন্তু নয়, বরং এই উপকরণ সরাসরি ত্বকে এবং চুলে (Hair Care) ব্যবহার করলেও একাধিক সমস্যার সমাধান হবে নিমেষে। গরমকালেও অনেকেই খুশকির (Dandruff Problem) সমস্যায় ভোগেন। ঘামের জেরে মাথার তালুতে চেপে বসে থাকে খুশকি। শ্যাম্পু করলেও দূর হতে চায় না সহজে। এক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান করতে পারে টকদই। কীভাবে টকদই ব্যবহার করলে খুশকির সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন, জেনে নিন বিশদে। 

  • খুশকির সমস্যা দূর করার জন্য সরাসরি মাথার তালুতে টকদই ব্যবহার করতে পারেন। স্নানের আগে স্ক্যাল্পে টকদই লাগিয়ে নিন। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রেখে ভালভাবে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন। মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎ হাল্কা ধরনের শ্যাম্পু, যেখানে সালফার থাকবে না। অন্যান্য কেমিক্যালের প্রভাবও কম থাকবে। চাইলে আপনি শ্যাম্পু করে মাথা ধুতে পারেন হাল্কা গরম জল দিয়েও। তবে গরম যেন খুব সামান্যই হয়। বেশি গরম জল চুল এবং স্ক্যাল্পের জন্য একেবারেই ভাল নয়। 
  • খুশকির সমস্যা দূর করার জন্য টকদইয়ের সঙ্গে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে স্ক্যাল্পে ব্যবহার করতে পারেন। এমনিতেও লেবুর রস চুলের জেল্লা বাড়ায় এবং খুশকির সমস্যা দূর করে। লেবুর রস চুল মোলায়েম এবং উজ্জ্বল রাখার পাশাপাশি খুশকির সমস্যা অল্প কয়েকদিনেই দূর করে। এক কাপ টকদইতে এক বড় চা-চামচ পাতিলেবুর রস মিশিয়ে ভালভাবে মাথার তালুতে লাগিয়ে নিন। তারপর শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন ৩০ থেকে ৪০ মিনিট। এরপর হাল্কা গরম জল এবং মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ভাল করে মাথা ধুয়ে নিতে হবে। 
  • টকদইয়ের সঙ্গে মেথির গুঁড়ো মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন খুশকির সমস্যার দূর করার জন্য। এই মিশ্রণে পাতিলেবুর রসও মিশিয়ে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে চুল ধোয়ার জন্য ভেষজ শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন আপনি। চুলের খুশকির অল্প দিনেই দূর হবে টকদই, পাতিলেবুর রস এবং মেথি গুঁড়োর মিশ্রণ ব্যবহারে। 
  • টকদই এবং পাতিলেবুর রসের সঙ্গে আমলকির রস মিশিয়েও আপনি ব্যবহার করতে পারেন মাথার তালুতে। এই মিশ্রণ স্ক্যাল্পে ব্যবহার করলে অল্পদিনেই খুশকির সমস্যা দূর হবে। পাতিলেবুর রসের মতো আমলকির রসও খুশকি দূর করে চুল থেকে। এর পাশাপাশি বজায় রাখে চুলের জেল্লা এবং মোলায়েম ভাব। 

গরমকালে খুশকির সমস্যায় ভুগলে বাড়িতে সহজে তৈরি এইসব মিশ্রণ স্ক্যাল্পে ব্যবহার করলে উপকার পাবেন আপনি। 

ডিসক্লেমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।