Curd in Empty Stomach: দই খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। বিশেষ করে যাঁরা দুধ খেতে পারেন না, তাঁরা বিকল্প হিসেবে দই খেতে পারেন। তবে টক দই খেতে হবে। চিনির পরিবর্তে নুন দিয়ে, বিশেষ করে বিটনুন দিয়ে যদি টক দই খেতে পারেন তাহলে সবচেয়ে বেশি উপকার। শরীর-স্বাস্থ্যের একাধিক সমস্যার সমাধান হবে। এবার জেনে নেওয়া যাক খালি পেটে দই খাওয়ার অভ্যাস কি আদৌ স্বাস্থ্যকর? 

দইয়ের ঘোল কিংবা লস্যি খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরে থাকে। তাই খিদের পেটে দই খাওয়া যেতেই পারে। দীর্ঘক্ষণ পেট ভরে থাকবে। চট করে আর খিদে পাবে না। দইয়ের শরবত তৈরি করে নেওয়াও খুবই সহজ। অল্প সময়ে বানিয়ে নেওয়া যায় এই স্বাস্থ্যকর পানীয়। 

এবার দেখে নেওয়া যাক খালি পেটে দই খাওয়া কেন ভাল 

  • দইয়ের মধ্যে প্রচুর প্রোবায়োটিকস থাকে যা আমাদের অন্ত্রের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে। হজমশক্তি ভাল হয়। তার ফলে দূর হয় বদহজম, অ্যাসিডিটি, গ্যাসের সমস্যা। পেট ভার লাগে না। প্রোবায়োটিকস সমৃদ্ধ টক দই খালি পেটে খেতে পারেন আপনি। অন্যান্য খাবার হজমে সাহায্য করবে। দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাও। নিয়মিত পেট পরিষ্কার হয়ে যাবে। 
  • দইয়ের মধ্যে ক্যালশিয়াম, প্রোটিন রয়েছে। দই খেলে হাড়ের গঠন মজবুত হয়। হাড়ের ক্ষয় রোধ করা সম্ভব হয়। দইয়ে থাকা ক্যালশিয়াম এই কাজগুলি করে। অন্যদিকে দইয়ে থাকা প্রোটিন নিরামিষভোজীদের জন্য প্রয়োজনীয় একটি খাবার। দইয়ের মধ্যে থাকে ভিটামিন বি। এই সমস্ত উপকরণ পেশী মজবুত এবং সুঠাম করতেও সাহায্য করে। তাই খালি পেটে দই খেতে পারেন আপনি। 
  • গরমের দিনে খালি পেটে টক দই বিশেষ করে খান। শরীর ঠান্ডা থাকবে। অর্থাৎ বাইরের গরম, লু আপনার শরীরে প্রভাব ফেলবে না। দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা সঠিক ভাবে বজায় থাকবে। 

তবে খালি পেটে দই খাওয়ার কিছু সমস্যাও রয়েছে 

  • খালি পেটে টক দই বেশি খেলে অ্যাসিডিটি হতে পারে। তাই যাঁদের অ্যাসিডিটি হওয়ার প্রবণতা রয়েছে তাঁরা খালি পেটে টক দই খাওয়ার চেষ্টা না করাই ভাল। 
  • দই যেহেতু ঠান্ডা জিনিস, তাই যাঁদের অল্পতেই ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ধাত রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে খালি পেটে দই খাওয়ার অভ্যাস সর্দির কারণ হতে পারে। বিশেষ করে সাইনাসের সমস্যা থাকলে তা বাড়তে পারে। 

আরও পড়ুন- 'ব্রেস্ট ক্যান্সার', মারণ রোগের এই বিশেষ ধরণ রুখতে নিয়মিত কোন কোন খাবার রাখতে পারেন পাতে? 

ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।