কলকাতা: সুস্থ থাকতে এবং সৌন্দর্যের জন্য ওজন কমানো এখন প্রাথমিক লক্ষ্য। কিছু ক্ষেত্রে শরীরের কারণেই যে কোনওভাবে ওজন কমানোর নির্দেশ দেন চিকিৎসকরা। ওজন বৃদ্ধির বিভিন্ন রকমফের রয়েছে। অনেকক্ষেত্রেই পেটের অংশ অনেকটাই বেড়ে যায়। ভুঁড়ি হয়ে যায় বা পেটে চর্বি জমে যায়।  বেশ কিছু শর্ত মেনে খাওয়া-দাওয়া এবং নিয়মিত শরীরচর্চায় অল্পদিনেই মুক্তি মিলবে পেটে চর্বি থেকে। কোন কোন দিকে খেয়াল রাখতে হবে?



  • কমিয়ে ফেলুন কার্বোহাইড্রেট: কার্বোহাইড্রেটের (carbs) পরিমাণ কমিয়ে ফেললে চর্বি (Fat) খরচ হয়। একাধিক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে দিলে খিদে কমে যায়। যার ফলে কমতে থাকে ওজন। চিনি, চিনিজাতীয় খাবার, ময়দার মতো জিনিস কমিয়ে ফেলতে হবে। ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে  দিলে ডায়াবেটিসের (Diabetes) ঝুঁকিও কম থাকে। 

  • প্রয়োজন ফাইবার: যে কোনও সময় পাচনতন্ত্রের জন্য উপকারী ফাইবার (Fiber)। বিশেষ করে উদ্ভিদ থেকে পাওয়া ফাইবার শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সব্জি ও ফল থেকে যে ফাইবার পাওয়া যায় তা ওজন কমাতে সাহায্য করে। পাচনতন্ত্র ভাল রাখার কারণে পরিপাক ভাল হয়, শরীরে স্নেহ পদার্থ জমতে দেয় না। এছাড়াও ওটস ও ওটস জাতীয় খাবারও ফাইবারের ভাল উৎস।

  • প্রতিদিন শরীরচর্চা: মেপে খাওয়ার পাশাপাশি পেটের চর্বি কমানোর অন্য়তম সেরা উপায় হল ব্যায়াম (Exercise)। যার যেরকম সুবিধে সেরকম ভাবেই ব্যায়াম করতে হবে। জিম হোক বা যোগব্যায়াম। দৌড়নো বা সাঁতার করলেও চলবে। প্রতিদিন হাঁটার অভ্যেসও পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে।    

  • খাবারে হিসেব: হাই প্রোটিন ও লো কার্ব ডায়েট ফ্য়াট কমায়। কিন্তু প্রতিদিন কী খাওয়া হচ্ছে তার হিসেব রাখা প্রয়োজন। কোনও পোষকপদার্থের বেশি পরিমাণ খাওয়া বা কোনওটা কম পরিমাণে খাওয়া শরীরের জন্য ভাল নয়। ফলে প্রতিদিন খাবার ট্র্যাক রাখতে হবে। কবে কী বেশি খেয়ে ফেললেন, সেদিকে নজর রাখা প্রয়োজন। নির্দিষ্ট সময়ে ওজন ঝরাতে ফুড (food intake) ট্র্যাকিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।   


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন: হাওয়ায় ভাসে কোভিড ভাইরাস, তত্ত্বে সিলমোহর নয়া গবেষণায়