Kidney And Liver Health: আমাদের সুস্থ-সবল থাকা অনেকটাই নির্ভর করে শরীরে দু'টি অঙ্গের উপর। লিভার এবং কিডনি। সারাবছর এই দুই অঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করবে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে পারলে। সেগুলি কী কী, দেখে নিন। তার আগে জেনে নেওয়া প্রয়োজন, লিভার এবং কিডনি ভাল রাখা ভীষণ ভাবে কেন জরুরি? আসলে কিডনি এবং লিভারের কার্যক্ষমতায় বিন্দুমাত্র সমস্যা দেখা দিলে আমাদের শরীর ভিতর থেকে আর পরিশ্রুত হতে পারে না। শরীরের মধ্যে টক্সিন এবং ফ্লুইড জমতে থাকে। তার ফলে বাড়ে সমস্যা। লিভার সঠিক ভাবে কাজ না করলে সারাক্ষণ গা-গোলাবে আপনার। খাবার দেখলে খেতে ইচ্ছে করবে না। সর্বক্ষণ একটা বমি ভাব দেখা দেবে। এগুলো হল প্রাথমিক উপসর্গ। অন্যদিকে কিডনির সমস্যা দেখা দিলে শরীরের একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ একসঙ্গে বিকল হয়ে যেতে পারে যাকে মাল্টি অর্গান ফেলিওর বলে। এমনিতে কিডনির সমস্যা দেখা দিলে শুরুর দিকে সমস্যা হবে প্রস্রাবের। হাত-পা-মুখ অস্বাভাবিক হারে ফুলে যেতে পারে। কোমরে অসম্ভব যন্ত্রণা হতে পারে। এছাড়াও লিভার এবং কিডনির স্বাস্থ্য খারাপ হলে একাধিক জটিল রোগ বাসা বাঁধতে পারে আপনার শরীরে। অতএব সতর্ক থাকা খুবই জরুরি বিষয়।
এবার দেখে নেওয়া যাক কী কী না খেলে, কোন কোন অভ্যাস মেনে চললে, কোন কোন বদভ্যাস অবিলম্বে ত্যাগ করলে অনেকদিন পর্যন্ত আপনার লিভার এবং কিডনি ভাল থাকবে
- লিভার এবং কিডনি ভাল রাখতে চাইলে রোজ সঠিক পরিমাণে জল খাওয়া প্রয়োজন। সঠিক পরিমাণে জল খেলে শরীরে জমা টক্সিন ধুয়ে বেরিয়ে যাবে। কিডনি ও লিভারের উপর চাপ কম পড়বে।
- পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন কিডনি ও লিভার ভাল রাখার জন্য। রোজ ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম রাতে হওয়া প্রয়োজন। ঘুমের সময় আমাদের বডি ডিটক্সিফিকেশন হয়। বিশেষ করে লিভার সেই সময় কাজ করে।
- লিভার ও কিডনি ভাল রাখতে চাইলে কাঁচা নুন খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে অবিলম্বে। নুন খেলে শরীরে বাড়ে সোডিয়াম। তার ফলে শরীরে জমে ফ্লুইড। কিডনির উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে।
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার খেতে হবে লিভার ও কিডনি ভাল রাখার জন্য। ব্লুবেরি খেতে পারেন আপনি। এছাড়াও গ্রিন টি দিনে একবার খাওয়া যেতেই পারে লিভার ও কিডনি ভাল রাখার জন্য। তবে বেশি খাবেন না।
- সারা বছর ফিট অ্যান্ড ফাইন থাকলে শরীর চর্চা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে সারা শরীরে ভালভাবে রক্ত সঞ্চালিত হবে। তার ফলে ভাল থাকবে কিডনি ও লিভার।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।