কলকাতা : মিষ্টি কোনও ভাবেই স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। মিষ্টি খাওয়া কোনো সুস্থ ব্যক্তির জন্যও ভাল নয়। ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি অতিরিক্ত চিনি খেলে বিষণ্ণতা এবং ত্বক সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি বাড়ে। আপনি যদি মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন তবে সীমিত পরিমাণে খান। এছাড়া আপনি যদি কোনো বিশেষ রোগে ভুগে থাকেন তবে চিকিৎসকের পরামর্শেই মিষ্টি খান।
হার্টের রোগীদের মিষ্টি খাওয়া উচিত নয়-
কেউ হার্টের রোগী হলে মিষ্টি খাওয়ার আগে অনেক সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। অনেক হৃদরোগী আছেন যাঁরা খাবারের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখেন না। খুব বেশি মিষ্টি খেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। হৃদরোগীদের স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে। এছাড়াও তাঁদের অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা থাকতে পারে। অতিরিক্ত মিষ্টি খেলে হৃদরোগীদের ক্ষতি হতে পারে।
বাড়তে পারে হৃদরোগের আশঙ্কা-
হার্টের রোগীরা ভিতর থেকে মূলত দুর্বল থাকেন। এই অবস্থায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া হার্ট সংক্রান্ত অন্যান্য রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার কারণে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে যায়। রক্তের প্রবাহে ধীরে ধীরে চর্বি জমে। যার কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা-
হৃদরোগের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মিষ্টি খেলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ে। অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া শরীরে পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করে। যার কারণে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
হার্টের রোগীরা বেশি মিষ্টি খেলে তাঁদের শরীরে অনেক ধরনের ফোলাভাব দেখা দিতে পারে। শরীরে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ হতে পারে। এটিকে হৃদরোগের সাথে যুক্ত করে দেখা যায়। এর মধ্যে রয়েছে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস (ধমনী শক্ত হয়ে যাওয়া) এবং করোনারি ধমনী রোগ।
প্রসঙ্গত, হার্টের রোগে সারা বিশ্বে যত মৃত্যু হয়, তার অধিকাংশই এলডিএল কোলেস্টেরলের কারণে হয়ে থাকে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ৪০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল কমানো গেলে হার্টের রোগে মৃত্যুর আশঙ্কা ২১ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। অন্যদিকে আরেক ধরনের কোলেস্টেরল এইচডিএল কোলেস্টেরলকে হার্টের জন্য় নিরাপদ বলে মনে করা হয়। তাই এই কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন অনেকে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এই বিষয়েও খুব সীমিত সংখ্যক গবেষণা হয়েছে।
তথ্যসূত্র : এবিপি নিউজ
আরও পড়ুন ; গ্রীষ্মের দাবদাহে জুড়োবে প্রাণ, চুমুক দিন কাঁচা আমের লস্যিতে
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।