কলকাতা : এপ্রিলে তীব্র গরমে জেরবার অবস্থা। তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি রয়েছে। এই সময়টা সবার জন্যই খুবই সমস্যার। বিশেষ করে নবজাতকের জন্য। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। যে কারণে তারা দ্রুত রোগের শিকার হয়। বিশেষ করে সেই সব শিশু যাদের জন্মের পর এটাই প্রথম গ্রীষ্ম। তাদের বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। এই নিবন্ধে, আমরা কিছু সহজ টিপস নিয়ে আলোচনা করব যা আপনি অনুসরণ করতে পারেন আপনার শিশুকে তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচাতে।
তাপপ্রবাহ থেকে শিশুকে বাঁচাবেন কীভাবে ?
আপনার শিশু যদি একটু বেশি শক্ত খাবার খেতে শুরু করে, তাহলে তাকে সবসময় তাজা খাবার খাওয়ান। এই মরসুমে শিশুদের পেটে সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। ৬ মাস বা তার কম বয়সি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল। এজন্য শিশুর বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
গ্রীষ্মের মরসুমে তাপপ্রবাহের প্রকোপ থেকে বাচ্চাদের রক্ষা করতে তাদের জন্য সঠিক পোশাক বেছে নিন। শুধুমাত্র সুতির পোশাক পরান। সুতির কাপড়ের মাধ্যমে শরীরে বাতাস চলাচল করতে পারে এবং ঘাম শুষে নেওয়ার ক্ষমতাও সুতির কাপড়ে বেশি থাকে। আপনার শিশুকে শুধুমাত্র হালকা সাদা, হলুদ, নীল রঙের পোশাক পরান।
যদি গরম এবং আর্দ্রতা বেশি থাকে, তবে শিশুকে বায়ুচলাচল করা ঘরে রাখুন। শিশুকে এমন জায়গায় রাখুন যেখানে বাতাস চলাচল ঠিক থাকে।
হাইড্রেশনের খেয়াল রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। সন্তানকে যদি তাপপ্রবাহের প্রকোপ থেকে রক্ষা করতে চান, তাহলে তাকে প্রতি অল্প সময় অন্তর জল পান করান। ৬ মাসের কম বয়সি শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ালে এর মাধ্যমে তাদের শরীরে জলের অভাব দূর হয়। বয়স ৬ মাসের বেশি হলে নারকেলের দুধ, লস্যি, ফলের রস দিতে পারেন।
গ্রীষ্মকালে শিশুকে বাইরে নিয়ে যাওয়া উচিত নয়। দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৪টে পর্যন্ত বাচ্চাকে বাইরে নিয়ে যাওয়ার ভুল করবেন না। শিশুর হিট স্ট্রোক হতে পারে। যদি কোনও বিশেষ কাজে বাইরে যাচ্ছেন, তাহলে শিশুকে ভালোভাবে ঢেকে রাখুন এবং তাকে টুপি পরিয়ে বাইরে নিয়ে যান।
প্রায়শই মহিলারা শিশুদের সব সময় ডায়াপার পরিয়ে রাখেন। গরমে এমনটা করলে র্যাশ ও হিট র্যাশ হতে পারে। গ্রীষ্মকালে শিশুর যত্নের সময়, সবসময় মনে রাখবেন যে বাইরে যাওয়ার সময় শুধুমাত্র শিশুকে ডায়াপার লাগাতে হবে। অন্যথায় সংক্রমণ এবং অ্যালার্জির ঝুঁকি বেশি হতে পারে।