Protein Deficiency Symptoms: প্রোটিন- আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য এতি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। তবে বেশিরভাগের শরীরেই প্রোটিনের ঘাটতি দেখা যায়। এর অন্যতম কারণ আমাদের খাদ্যাভ্যাস। এমন কোনও কথা নেই যে নিরামিষ খাওয়া মানেই আপনার শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি থাকবে। এমন অনেকেই রয়েছেন যাঁরা রোজই আমিষ খাবার খেয়ে থাকেন। অথচ তাঁদের শরীরেও দেখা যায় প্রোটিনের ঘাটতি। অতএব আপনি নিরামিষ ভোজী হোন কিংবা আমিষ খাবার খান, প্রোটিনের ঘাটতি এড়াতে চাইলে সুষম আহার করা জরুরি। অন্যদিকে শরীরে প্রোটিনের আধিক্যও কিন্তু মোটেই ভাল বিষয় নয়। তাই লাগামছাড়া ভাবে অ্যানিমাল প্রোটিন খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকা জরুরি।                            

এবার জেনে নেওয়া যাক কোন কোন উপসর্গ বা লক্ষণ দেখলে আমরা বুঝতে পারব যে আমাদের শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হয়েছে 

  • প্রোটিনের ঘাটতি হলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে যেতে পারে। এছাড়াও পেশীর ক্ষয় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হলে হাত এবং পা ফুলে যেতে পারে আপনার। আচমকা এই লক্ষণ দেখা দিলে সতর্ক হোন। 
  • প্রোটিনের ঘাটতি হলে ত্বক এবং চুলের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। চুল পড়ার সমস্যা বাড়তে পারে। চুল ভঙ্গুর হয়ে যেতে পারে। প্রোটিনের ঘাটতি হলে আপনার ত্বক মারাত্মক রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। ত্বকের জৌলুস একেবারেই থাকে না। 
  • প্রোটিন অ্যান্টিবডি তৈরি করে আমাদের ইমিউনিটি সিস্টেম সুদৃঢ় রাখে। তাই প্রোটিনের ঘাটতি হলে ঘনঘন অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রোটিনের ঘাটতি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয়। অর্থাৎ ইমিউনিটি কমে যায় আমাদের। 
  • প্রোটিনের ঘাটতি হলে পেশীর ক্ষয় হয়। ভঙ্গুর হয়ে যেতে পারে হাড়। অর্থাৎ প্রোটিনের ঘাটতি হাড়ের গঠনে ক্ষয় ধরায়। অল্পেই হাড় ভেঙে যেতে পারে।                           
  • প্রোটিনের ঘাটতি বাচ্চাদের মধ্যে হলে 'গ্রোথের' ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। অ্যানিমিয়ার সমস্যা হতে পারে। আচমকা ওজন বাড়তে পারে। কিংবা হঠাৎ কমতেও পারে।                           

আরও পড়ুন- শীতের মরশুমে হাঁচি-কাশি নিত্যসঙ্গী? সহজ কিছু নিয়ম পালনে হবে সমস্যার সমাধান 

ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।