মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ (National Institutes of Health) এর বিজ্ঞানীদের একটি গবেষণায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।  এই গবেষণায় দেখা গেছে, SARS-CoV-2 সংক্রমণ ঘটার পর ভাইরাস কয়েক মাস ধরে শরীরে থাকতে পারে। Systemic infection  একটি মাত্র অঙ্গ বা শরীরের কোন একটি অংশের পরিবর্তে পুরো শরীরকে প্রভাবিত করে।


এখনও এই গবেষণার peer-review করা হয়নি। গবেষণাপত্রটির ম্যানুস্ক্রিপ্ট অনলাইনে নেচার জার্নালের review for publication বিভাগে প্রকাশিত। গবেষণাটি মেরিল্যান্ডের বেথেসদায় এনআইএইচ-এ  করা হয়েছিল। কোভিড ১৯ এর জটিল সংক্রমণ ঘটলে মাল্টি অরগ্যান ফেলইয়র হতে পারে। যখন কোভিড থেকে সেরে ওঠার পরও দীর্ঘদিন নানারকম উপসর্গ থেকে যায়, তখন তাকে SARS-CoV-2 (PASC) - র পোস্ট - অ্যাকিউট - সিক্যুয়েল বলা হয়ে থাকে। বা বলা হয় লং কোভিড (Long Covid ) 

কোভিড আক্রান্ত হলে শ্বাসনালীর বাইরে ইনফেকশন কতটা ছড়ায় এবং ঠিক কতটা সময় লাগে শরীর থেকে ভাইরাস পুরোপুরি যেতে, সে বিষয়ে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায় না। NIH  এর বিজ্ঞানীরা এই বিষয়েই একটি গবেষণা করেন। 


SARS-CoV-2 সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং সারা দেহের কোষকেই সংক্রমিত করতে পারে 


SARS-CoV-2 এর সংক্রমণ সবথেকে বেশি ছড়ায় শ্বাসনালীতে ও ফুসফুসে। সংক্রমিত হওয়ার  শুরুর দিকেই  ভাইরাস সারা দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে, সংক্রমিত করতে পারে কোষগুলিকেও। সংক্রমণ ছড়াতে পারে মস্তিষ্কেও। বাসা বাঁধতে পারে শ্বাসনালীর বাইরে। হৃদযন্ত্রেরও ক্ষতি করতে পারে এই ভাইরাস। গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্ট, রেনাল এবং এন্ডোক্রাইন গ্রন্থি এবং প্রজনন টিস্যুকেও সংক্রমিত করে এই ভাইরাস। গবেষণায় বলা হয়েছে, ভাইরাল শরীর থেকে পুরোপুরি যেতে অনেক সময় লেগে যায় বলেই, কোভিড আক্রান্তদের মধ্যে অনেকদিন লক্ষণগুলি থেকে যায়।


গবেষণার জন্য কোভিডে মৃত  লোকেদের উপর অটোপসি (extensive autopsies ) করা হয়। অটোপসি করে দেখা হয় মৃতদের শরীরে কীভাবে, কোথায়-কোথায় ছড়িয়েছে সংক্রমণ।