ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা : অক্সিজেনের অভাবে মানুষের ছটফট করা! শ্মশানে শ্মশানে গণচিতা! অতিমারী, যে কতটা ভয়াবহ হতে পারে, গত দেড় বছর ধরে তা আমরা দেখছি! এর আগেও বহু বার অতিমারি-মহামারির সাক্ষী থেকেছে আমাদের দেশ!
কখনও প্লেগ! কখনও আবার কলেরা। তথ্য বলছে, ভারত-সহ বিশ্বের ৪৭টি দেশে এখনও কলেরার প্রকোপ রয়েছে। 




কলকাতার অদূরে কামারহাটিতে, কলেরা ব্যাকটিরিয়া হদিশ মেলার ঘটনা বাড়িয়ে দিয়েছে উদ্বেগ। বিশেষজ্ঞদের মতে - 



  • কলেরা মূলত জলবাহিত ব্যাকটেরিয়া।

  • জলের থেকেই ছড়ায় এই রোগ। 

  • দূষিত খাবার থেকেও কলেরা ছড়াতে পারে।

  • কলেরার উপসর্গ, বমি ও পেট ব্যথা।


 


চিকিৎসকদের মতে, কলেরার কার্যকরী চিকিৎসা দ্রুত শুরু না হলে, তার পরিণাম ভয়ঙ্কর হতে পারে। নাইসেডের প্রাক্তনের বিক্ষানী দীপিকা শূর জানালেন,  কলেরা হলে তার দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন, না হলে কিডনি বিকলের মতো সমস্যা হয়। কোথা থেকে সংক্রমণ আইডেন্টিফাই করতে হবে। কারণ, কলেরা দ্রুত ছড়ায়।


কলেরার ভ্যাকসিন



  • কলেরার ভ্যাকসিন রয়েছে। প্রায় এক দশক আগে, NICED’এর নেতৃত্বে এই ভ্যাকসিন আবিষ্কার করা হয়েছিল। যাকে, অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ্যা WHO। 

  • অবাক করা বিষয় হল, বিশ্বের নানা দেশে ব্যবহার করা হলেও, কলেরার ভ্যাকসিন ভারতে ব্যবহার করা হয় না। 

  • বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দু-সপ্তাহের ব্যবধানে এই ভ্যাকসিন নিলে অন্তত এক বছর, তা কার্যকর থাকবে। 

    বৃহস্পতিবার NICED এর আশঙ্কাই সত্যি হয়। জানা যায়, কামারহাটিতে ডায়েরিয়ার প্রকোপের কারণ কলেরার জীবাণু।ডায়রিয়া আতঙ্ক চলছিলই। মেলে কলেরার জীবাণু। সাগর দত্ত মেডিক্যাল থেকে ৩টি নমুনা যায় নাইসেডে। ৩টি নমুনাতেই মিলল কলেরার জীবাণু। ভর্তি সব রোগী কলেরা আক্রান্ত ধরে চিকিৎসা শুরু হয়েছিল সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে। তবে এখনও পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না কলেরার জীবাণুর উত্স কোথায়, জল না কোনও খাবার।