Stress And Overeating: মানসিক চাপ (Mental Pressure), অবসাদে (Stress) অনেকের মধ্যেই অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা (Stress Eating Habits) দেখা যায়। এই অভ্যাস বাড়িয়ে দেয় ওজন। দেখা দিতে পারে আরও অনেক শারীরিক সমস্যা। স্ট্রেস বাড়লে বেশিরভাগেরই রাতের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। আর সেখান থেকেই তৈরি হয় মিডনাইট স্ন্যাকিংয়ের প্রবণতা। মনে যা ইচ্ছে হয় শরীর-স্বাস্থ্যের কথা না ভেবে অসময়ে সেইসব খাবারই খেয়ে ফেলি আমরা। এই 'স্ট্রেস ইটিং'- এর অভ্যাস কীভাবে ত্যাগ করবেন তার জন্য দেখে নিন কিছু সহজ টিপস। 


তার আগে জানতে হবে স্ট্রেস ইটিং আসলে কী এবং কোন ধরনের লক্ষণ দেখলে বুঝতে পারবেন আপনার এই সমস্যা হচ্ছে 



  • স্ট্রেস কিংবা মানসিক অবসাদে থাকলে অনেকসময় অনেকের মধ্যে অতিরিক্ত পরিমাণে খাবার খাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। অসময়ে খাবার খাওয়ার ইচ্ছে হতে পারে। 

  • স্ট্রেস থাকলে রাতে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। সেই সময় মিডনাইট স্ন্যাকিংয়ের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, যা ভীষণ ভাবে ওজন বাড়িয়ে দেয়। 

  • মূলত মনমেজাজ ভাল না থাকলে ভাল খাবার খেলে আমাদের মনমেজাজ ভাল হয়ে যায় একথা সত্যি। কিন্তু লাগামছাড়া খাবার খেলে বাড়বে ওজনও। 


সাধারণত স্ট্রেসের কারণে খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়লে প্রথমেই আমাদের ওজন বৃদ্ধি পাবে। আর তার থেকে দেখা দেবে আনুষঙ্গিক বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা। আপনার হৃদযন্ত্রে প্রভাব পড়বে। বাড়তে পারে রক্তচাপ এবং ব্লাড সুগারের মাত্রাও। 


এবার দেখে নিন কীভাবে এই অভ্যাস ত্যাগ করবেন, কমাবেন 



  • কী কারণে আপনার স্ট্রেসের মাত্রা বেড়েছে কিংবা আপনি মানসিক অবসাদ, চাপে রয়েছেন সেটা সবার আগে খুঁজে বের করতে হবে। 

  • স্ট্রেস মাত্রাছাড়া হয়ে গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। মানসিক অবসাদের সমস্যা কখনই অবহেলা করলে চলবে না। এতে বিপদ বাড়বে। 

  • ভালভাবে ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলেও অনেকসময়েই স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদ বাড়তে পারে। তাই রোজ সঠিক ভাবে ঘুমান। 

  • ঘুমের সমস্যা অতিরিক্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ঘুম না হলে মিডনাইট স্ন্যাকিং অর্থাৎ রাতবিরেতে খাবার খাওয়ার প্রবণতা দেখা দেবেই। 

  • মিডনাইট স্ন্যাকিং হোক বা অসময়ে খাবার খাওয়ার ইচ্ছে হলে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। নাহলে ওজন বেড়ে যাবে। এর থেকে অন্যান্য শারীরিক সমস্যা হবে। 

  • ভাল খাবার খাওয়ার পাশাপাশি গান শোনা, বই পড়া, সিনেমা দেখা, ছবি আঁকা, নাচ করা - এইসব অভ্যাসও আপনার স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করবে। 


আরও পড়ুন- কেন ব্যবহার করবেন এসেন্সিয়াল অয়েল? কী কী উপকার পেতে পারেন? 


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।