বিশ্বব্যাপী হৃদরোগের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর কারণ হিসবে কখনও দায়ী করা হচ্ছে করোনার ভ্যাকসিনকে, কখনও আবার করোনাকেই। কিছুদিন আগে কর্নাটকের হাসানে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে একের পর এক মানুষের মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে। তবে চিকিৎসকদের সিংহভাগই মনে করছে হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য বিশাল ভূমিকা পালন করে জীবনযাত্রার ধরন। এছাড়াও খাদ্যাভ্যাস হার্টের অসুখের অন্যতম কারণ বলে মনে করা হয়। চিকিৎসক ও ডায়েটিশয়ানরা মনে করছেন, শুধুমাত্র খাদ্যাভ্যাসই একটা মানুষের হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে। আর যাঁরা এমনিতেই হার্টের অসুখে আক্রান্ত, তাঁদের জন্য তো সঠিক ডায়েট বেছে নেওয়া অতি আবশ্যিক।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, খাদ্যাভ্যাস কিন্তু অনেক অসুখই রুখে দিতে পারে প্রাথমিক ভাবে। উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রার মতো বিষয়গুলি কিন্তু খাদ্যের উপর অনেকটাই নির্ভর করে। ডায়েটের মাধ্যমেই কমিয়ে দেওয়া যেতে পারে এই ধরনের অসুখের ঝুঁকি। নন-ইনভেসিভ কার্ডিওলজি বিশেষজ্ঞ ডাঃ বিমল ছাজের একটি ব্লগে এই নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন।
চিকিৎসকের মতে, প্রতিদিন ফলমূল ও শাকসবজি খেতেই হবে। প্লেটে রাখতে গহে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি এবং ফল । নানা রঙ, স্বাদের ফল মিলিয়ে মিশিয়ে খেতে হবে। শাকসবজি এবং ফলমূল থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। ফ্রি ব়্য়াডিকলসের সঙ্গে লড়তে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর সেই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান অব্যাহত রাখতে খাদ্য তালিকায় শাকসবজি, বেরিজাতীয় ফল, লেবু জাতীয় ফল এবং শাকসবজি রাখা আবশ্যক।
অস্বাস্থ্যকর অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার পরিবর্তে, আপনার খাদ্যতালিকায় গোটা শস্য খান। প্রক্রিয়াজাত,প্যাকেটবন্দি খাবার কিন্তু স্বাস্থ্যসহায়ক নয়। সাদা চালের ভাতের বদমে ব্রাউন রাইস বেছে নিন। ওটস খেতে পারেন। উচ্চ ফাইবারযুক্ত, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। এসব খাবারই হৃদরোগ রুখতে সাহায্য করে। চর্বিহীন প্রোটিন রাখুন খাদ্যতালিকায়। এছাড়া সারাদিন খাটাখাটনি করার জন্য যে পরিমাণে পুষ্টির দরকার, তা পেতে পারেন ডাল এবং টোফুর মতো চর্বিহীন প্রোটিন থেকে। রেড মিটের বদলে মুরগির মাংস খাওয়া ভাল । এছাড়া গুড ফ্যাট খেতে পারেন, বাদ দিতে হবে স্যাচুরেটেড ফ্যাট ।
তবে মনে রাখতে হবে, ডায়েট বিষয়টিই ব্যক্তি ভিত্তিক। তাই এই গাইডলাইন একটি সাধারণ ধারণা দেওয়ার জন্য। নিজের ক্ষেত্রে অ্যাপ্লাই করার আগে চিকিৎসক বা ডায়েটিশিয়ানের সাহায্য নিন অবশ্যই।