কলকাতা : সারা বিশ্বে হৃদরোগে ( Heart Attack )  আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। সঙ্গে বাড়ছে রক্তচাপ সংক্রান্ত সমস্যা, কোলেস্টেরলের মাত্রা । সেই সঙ্গে লক্ষণীয় হারে বেড়ে চলেছে কমবয়সীদের  মধ্যে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার হার। 


 বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন,  সঠিক সময়ে সমস্যা  শনাক্ত করা গেলে হৃদরোগ রুখে দেওয়া সম্ভব। অন্যথায় পরিস্থিতি খুব গুরুতর হতে পারে। চিকিৎসকরা বলছেন হার্ট অ্যটাকের অন্যতম কারণ হল ব্লকেজ। সেই ব্লকেজটি যদি আগেভাগে ধরে ফেলা যায়, তাহলে বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব। 


হার্টে ব্লকেজের সমস্যাকে একেবারেই উপেক্ষা করার নয় । বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্ট ব্লকেজের সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। হার্ট ব্লকেজের সমস্যা কীভাবে দূর করা যায়, তা জানা গেলে সমস্যা শুরুতেই অনেকটা রুখে দেওয়া সম্ভব। 


হার্ট ব্লকেজ শনাক্ত করতে কী কী  পরীক্ষা জরুরি 


হার্ট ব্লকেজ আছে কিনা দেখার জন্য কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়। হৃদ্‌যন্ত্রে কোলেস্টেরল অতিরিক্ত জমা হতে শুরু করলে ব্লকেজ তৈরি হয়।  আসলে যখন চর্বি জাতীয় বস্তু আর্টারির মুখ সরু করে দেয়, তখন স্বাভাবিক ভাবেই তার মধ্য দিয়ে রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়।   আসুন জেনে নিই হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের মতে হার্ট ব্লকেজের লক্ষণগুলো কী কী? হার্ট ব্লকেজ শনাক্ত করতে কোন পরীক্ষা করা প্রয়োজন? বা হার্ট ব্লকেজ পরীক্ষা কিভাবে করবেন? 


ইসিজি


যদি আপনার শরীরে হার্ট ব্লকেজের লক্ষণ দেখা যায়, তাহলে প্রথমে আপনাকে ইসিজি করাতে পরামর্শ দেওয়া হবে। ইসিজি-র মাধ্যমে বোঝা যায় হার্টে কতটা ব্লকেজ রয়েছে। এ ছাড়া সব সময় বুকে ব্যথা থাকলে অন্যান্য পরীক্ষাও করাতে পারেন। 









যদি ইসিজি স্বাভাবিক হয় তবে আপনি হার্ট ব্লকেজ সনাক্ত করতে 2D ইকোকার্ডিওগ্রাফি করাতে পারেন। এই পরীক্ষায় হার্টের পেশীর পাম্পিংয়ে ত্রুটি ধরা পড়ে। সেই সঙ্গে হার্টের ভাল্বে কোনো ধরনের ফুটো আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা সম্ভব। 2D ইকোকার্ডিওগ্রাফি পরীক্ষায় যদি হার্টে কোনো অস্বাভাবিকতা দেখা যায়, তাহলে তা হার্ট ব্লকেজের কারণে হতে পারে। আপনার যদি প্রায়ই বুকে ব্যথা, ক্লান্তি, পিঠে ব্যথা হয়, তবে আপনাকে অবশ্যই এই পরীক্ষাটি করাতে হবে। 


ট্রেডমিল স্ট্রেস পরীক্ষা


ট্রেডমিল স্ট্রেস টেস্টের সাহায্যে হার্ট ব্লকেজ সহজেই আন্দাজ করা সম্ভব। ট্রেডমিল স্ট্রেস টেস্টকে এক্সারসাইজ স্ট্রেস টেস্টও বলা হয়। এই পরীক্ষায়, একজন ব্যক্তিকে ট্রেডমিলে দৌড়তে হয় ।  চিকিৎসক হার্টের ছন্দ, রক্তচাপ এবং শ্বাস-প্রশ্বাস নিরীক্ষণ করেন। এগুলোর মধ্যে কোনও ধরনের গোলযোগ দেখা গেলে হার্ট ব্লকেজ হতে পারে। এর রিপোর্টে কোনও সমস্যা হলে স্ট্রেস ইকো ডবুটামিন, কার্ডিয়াক এমআরআই, সিটি করোনারি অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করা যেতে পারে।


স্ট্রেস থ্যালিয়াম পরীক্ষা


হৃৎপিণ্ডের যে অংশে রক্ত ​​ঠিকমতো পৌঁছায় না, সেক্ষেত্রে ব্লকেজের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এবং শুধুমাত্র তারপর স্ট্রেস থ্যালিয়াম পরীক্ষা করা হয়। অথবা কার্ডিয়াক এমআরআই করা হয়।


হার্ট ব্লকেজের লক্ষণগুলি কী কী 



  • ঘন ঘন ক্লান্ত বোধ করা

  • বুক ব্যাথা

  • চোয়াল ব্যথা

  • বুকের বাম এবং ডান পাশে ব্যথা

  • পেটে  উপরের দিকে ব্যথা

  • ডান এবং বাম কাঁধে ব্যথা 

  • পিঠে ব্যাথা

  • হাঁটার সময় ব্যথা বেড়ে যায়

  • সিঁড়ি বেয়ে উঠার সময় শ্বাসকষ্ট, ঘাম

  • বুক ধড়ফড় ইত্যাদি

    ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।