ভাল থাকার জন্য ওষুধ তো আমরা প্রত্যেকেই খাই। কিন্তু সেই ওষুধই যদি হয়ে যায় নীরব ঘাতক? চিকিৎসকদের একাংশ বলছেন, এমন কিছু ওষুধ আছে, যা নিয়মিত সেবনে হার্টের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেমফিসের বিশিষ্ট কার্ডিওলজিস্ট ডঃ দিমিত্রি ইয়ারানোভের দাবি কিছু সাধারণ ওষুধও হৃদরোগের কারণ হতে পারে।  টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে, কিছু সাধারণভাবে ব্যবহৃত ওষুধ নীরবে আপনার হার্টের ক্ষতি করতে পারে। 

Continues below advertisement

ভারত ক্রমেই ডায়াবেটিস ক্যাপিটাল হয়ে উঠছে। বিশ্বব্যাপী প্রায় ৮৩ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছেন, বলছে হু!  টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে,  ডাঃ ইয়ারানোভ সতর্ক করেছেন, রোসিগ্লিটাজোনের মতো কিছু ডায়াবেটিসের ওষুধ হৃদপিণ্ডের ক্ষতি করতে পারে।  ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে তিনি এ কথা বলেন।তাই ডায়াবেটিসের ওষুধ একেবারেই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া ঠিক নয়। আর চিকিৎসকেরও পেশেন্টের মেডিক্যাল হিস্ট্রি অবশ্যই দেখে নেওয়া দরকার। 

হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের মতে, ঠান্ডা লাগা এবং বুকে সর্দি বসে যাওয়ার আটকানোর কিছু সাধারণ ওষুধও করেন তার হার্টের ক্ষতি করতে পারে।  সিউডোফেড্রিনযুক্ত ওষুধগুলি হার্টের জন্য ক্ষতিকারক। এগুলি রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে এবং অ্যারিথমিয়া সৃষ্টি করতে পারে। তাই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে, তবেই যে কোনও ওষুধ খাওয়া দরকার। 

Continues below advertisement

জ্বর এবং প্রদাহ কমায় এমন  ননস্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগও হার্টের উপর খারাপ প্রভাব ফলতে পারে অনেক দিন ধরে ব্যবহারের ফলে। আইবুপ্রোফেন , নেপ্রোক্সেনের মতো দৈনন্দিন ওষুধগুলিও হৃদয়ের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।  ওভার-দ্য-কাউন্টার কিছু পেনকিলারও কিন্তু ক্ষতিকারক হতে পারে। নিয়মিত ব্যবহার রক্তচাপ বৃদ্ধি করতে পারে।  কোনও কোনও ক্ষেত্রে হার্ট ফেলের কারণ হতে পারে। 

 টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে, ডক্টর ইয়ারানোভের মতে, ডক্সোরুবিসিন এবং ট্রাস্টুজুমাবের মতো কিছু কেমোথেরাপির ওষুধও হৃদযন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে। এই ওষুধগুলির প্রভাবে কার্ডিওটক্সিসিটি হতে পারে। এর ফলে দুর্বল হতে পারে হৃদযন্ত্রের পেশী। যা ক্রমে হৃদযন্ত্রের ব্যর্থতার কারণ হতে পারে । 

ADHD-এর জন্য অনেক সময়ই ডাক্তাররা Stimulant medication দিয়ে থাকেন।  অ্যাম্ফিটামিনের মতো ওষুধগুলি হৃদস্পন্দন এবং রক্তচাপ বৃদ্ধি করতে পারে । এরফলে বাড়তে পারে অ্যারিথমিয়া এবং এমনকি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি।