Natural Sweetener: ক্রমশ ওজন বাড়ছে (Weight Gain) আপনার? কড়া ডায়েট কিংবা জিম করবেন ভাবছেন? তার আগে প্রতিদিনের খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণ কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। এর সঙ্গে একটু শারীরিক কসরত নিয়মিত ভাবে করলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপনার ওজন কমতে বাধ্য। সবার আগে প্রতিদিনের মেনু থেকে অতি অবশ্যই চিনি (Sugar) বাদ দেওয়া প্রয়োজন। এটা শুনে অনেকেরই মনে হতে পারে চিনি ছাড়া চা কীভাবে খাবেন? অভ্যাস করতে হবে চিনি ছাড়া চা খাওয়া। একান্তই না পারলে চিনির পরিবর্ত হিসেবে উপকরণ খুঁজে নিতে হবে। শুধু চা নয়, সারাদিনে অনেক রান্না বা খাবারেই চিনি যোগ করা হয়। এক্ষেত্রে চিনির পরিবর্ত হিসেবে কী কী ব্যবহার করতে পারেন, সেটা একনজরে দেখে নেওয়া যাক।


মধু- চিনির পরিবর্ত হিসেবে সবচেয়ে ভালভাবে কাজ করে মধু। স্বাদে মিষ্টি এই উপকরণ আপনি অনায়াসে চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়াও অন্যান্য অনেক খাবারেই ন্যাচারাল সুইটনার হিসেবে মধু ব্যবহার করতে পারেন। মধুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিভাইরাল উপকরণ। এইসব থাকার ফলে মধু এমন একটি উপকরণে পরিণত হয়েছে যেখানে আয়রন, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এইসব গুরুত্বপূর্ণ জিনিস রয়েছে। সর্দি-কাশির সময়ে মধু খেতে পারলেও উপকার পাওয়া যায়। এর সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন গোলমরিচ।


গুড়- চিনির পরিবর্ত হিসেবে গুড় ব্যবহার করা যায়। চায়ের মধ্যে গুড় মিশিয়ে হয়তো খাওয়া যাবে না। তবে অন্যান্য অনেক খাবারেই সুইটনার হিসেবে গুড় ব্যবহার করা সম্ভব। এমনিতেও গুড় ভেজানো জল খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। যদি আপনার মিষ্টি স্বাদ বেশি পছন্দ হয় তাহলে স্মুদির মধ্যে আপনি গুড় যুক্ত করতে পারেন। এর পাশাপাশি মিষ্টি স্বাদের ফলের পাল্পও ব্যবহার করতে পারেন ন্যাচারাল সুইটনার হিসেবে। 


খেজুর- চিনির পরিবর্তে মিষ্টি স্বাদের জন্য খেজুরও ব্যবহার করা যায়। এমনিতেও খেজুরের মধ্যে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে খেজুর। এছাড়াও সকালে জলখাবারে যাঁরা কর্নফ্লেক্স বা মুসলি খান তাঁরা এই খাবারের মধ্যে খেজুর, কিশমিশ বা মিষ্টি জাতীয় ফল যোগ করে তার স্বাদ মিষ্টি তৈরি করতে পারেন। কোনও খাবারে খেজুর যুক্ত করতে হলে আগে বীজ ছাড়িয়ে খেজুর মিক্সিতে বেটে নিতে হবে। তারপর সেই মিশ্র যুক্ত করতে পারেন খাবারে। 


আরও পড়ুন- মসৃণ-মোলায়েম ত্বক পেতে বছরভর চালু থাকুক পরিচর্যা, কীভাবে যত্ন করবেন?