কলকাতা: উচ্চ রক্তচাপ মানেই কিছু দিন পর হার্টের নানা রোগ শুরু। তার উপর লিপিড প্রোফাইলের পরীক্ষার ফল খারাপ হলে তো কথাই নেই। লিপিড রক্তের কোলেস্টেরলের পরিমাণ মাপতে কাজে লাগে। কোলেস্টেরল দুই ধরনের। খারাপ বা কম ঘনত্বের কোলেস্টেরল (cholesterol) ও ভাল বা বেশি ঘনত্বের কোলেস্টেরল। খারাপ কোলেস্টেরলই হার্টের নানা রোগের বড় কারণ। কিন্তু কোলেস্টেরল কীভাবে হার্টের রোগ বাঁধায়? কীভাবেই বা উচ্চ রক্তচাপ (high blood pressure) হার্টের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়? সম্প্রতি এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা। অ্যাডভান্সড সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে সেই গবেষণা।


হার্টে প্রেশারের (high pressure) কারসাজি


হার্টের ভিতর ধমনীতে একটি বিশেষ কারসাজি করে হাই প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপ। মেরি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের অধ্যাপক ও প্রধান গবেষক থমাস ইসক্রাচ ও তার দল খুঁজে পেয়েছেন একটি সম্পূর্ণ অভিনব পদ্ধতি। এই পদ্ধতির সাহায্য নিয়ে উচ্চ রক্তচাপ  ধমনীতে থাকা একটি বিশেষ কোশকে অন্যরকম কোশে পাল্টে দেয়। ধমনীর গায়ে থাকে ভাসকুলার স্মুথ মাসল কোশ নামের একটি বিশেষ কোশ। সেই কোশকে উচ্চ রক্তচাপ ফোম কোশে পাল্টে দেয়। এই ফোম কোশই হার্টের বিপদের কারণ।  হার্টের ধমনীতে ধীরে ধীরে এই ফোম কোশ জমতে থাকে। জমতে জমতে তা এক সময় ব্লকেজের ( heart blockage) আকার নেয়। 


উচ্চ রক্তচাপ আদতে কী করে?


উচ্চ রক্তচাপ ভাসকুলার স্মুথ মাসল কোশের ভোল বদলে দেয়। কিন্তু সেটা কীভাবে? থমাসের কথায়, এই কোশগুলির মধ্যে লিপিডের ড্রপলেট ভরে দেয় উচ্চ রক্তচাপ। এর ফলে কোশগুলি ফোম কোশে বদলে যায়। ঠিক কী পদ্ধতিতে হাই প্রেশার এই কাজ করে, তা এখনও জানা যায়নি। গবেষকদের কথায়,  এই কায়দার খোঁজ পাওয়া গেলে হার্টের অনেক রোগ দূর করা যাবে। ব্লকেজ হওয়ার আগেই ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। তবে আপাতত একটি প্রোটিনের খোঁজ পেয়েছেন গবেষকরা। কী সেটি?


থমাস সংবাদমাধ্যমকে বলেন, পিজো ১ নামের একটি বিশেষ প্রোটিন পাওয়া গিয়েছে এই গবেষণায়। এই বিশেষ প্রোটিনটি লিপিডকেও সক্রিয় করে দেয়।  এই প্রোটিনটি আদতে একটি প্রেশার সেনসিটিভ প্রোটিন। অর্থাৎ প্রেশার বাড়লেই প্রোটিনটি সক্রিয় হয়ে ওঠে। তার পরেই ভাসকুলার স্মুথ মাসল কোশের রূপ বদলানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই পদ্ধতিকে নিস্ক্রিয় করতে পারলেই হার্টের ব্লকেজ আটকে দেওয়া সম্ভব। সেই প্রক্রিয়াই খোঁজ শুরু হবে এবার।


আরও পড়ুন: Sickle cell disease: সিকল সেল অ্যানিমিয়া রোগীদের জোড়া বিপদ ! কেন এমনটা বলছেন বিজ্ঞানীরা