কলকাতা: দুধে (Milk) আছে ভিটামিন ডি এবং ক্যালশিয়াম, যা হাড় মজবুত করার জন্য প্রয়োজন। অধিকাংশ নারীদেরই বয়স বাড়ার সাথে সাথে অস্টিওআরথ্রারাইটিসের সমস্যা দেখা দেয়। নিয়ম করে প্রতিদিন রাতে দুধ খেলে এ ধরনের রোগ থেকে মুক্তি মিলবে। পাশাপাশি বাতের সমস্যাও শরীরে বাসা বাঁধতে পারবেনা। তবে সবার তো দুধ (Milk) হজম হয় না। অ্যালার্জি সংক্রান্ত সমস্যার কারণে অনেকেই দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খেতে পারেন না। আবার অনেকে এখন ভিগান লাইফস্টাইল বেছে নিচ্ছেন। তাঁরা প্রাণীজাত কোনও খাবার খান না। ফলে গরু বা মোষের দুধও এড়িয়ে যান তাঁরা।
আরও পড়ুন...
Oily Scalp: 'অয়েলি স্ক্যাল্প'-এর সমস্যা দূর করতে প্রতিদিনের জীবনে কী কী নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন?
এই দুই ধরনের ব্যক্তিদের জন্যই খুব ভাল বিকল্প হতে পারে আমন্ডের দুধ বা আমন্ড মিল্ক (Almond Milk)। বাইরে থেকে এটি কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু পকেট বাঁচাতে বাড়িতেও করতে পারেন এটি। বাড়িতেই তৈরি করুন আমন্ডের দুধ (Almond Milk)। আমন্ডের দুধ (Almond Milk) খেলে শরীরের আয়রন ও রাইগোফ্লবিনের ঘাটতি দূর হয়ে যায়। ফলে পেশী দুর্বল হয়ে পড়ার কোনো সমস্যাই থাকে না। বাদাম দুধ (Almond Milk) হজম শক্তি ঠিক রাখতেও সাহায্য করে থাকে। বাদাম দুধে রয়েছে ফাইবার যা হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে।
আরও পড়ুন...
Health Tips: ঘোরার সময় পেট ঠিক রাখতে মেনে চলুন এই সহজ নিয়মগুলি
নিজে নিজে কীভাবে সহজেই তৈরি করবেন? রইল তারই পদ্ধতি
প্রথমেই এক কাপ বা ২৫০ গ্রাম আমন্ড নিন। তারই সঙ্গে নেবেন ৫ কাপ বা ১.২৫ লিটার জল। তার আগে আমন্ড (Almond) ভিজিয়ে রাখতে হবে। সাধারণ জলে ওই আমন্ডগুলি ভিজিয়ে রাখুন। অন্তত ৮ ঘণ্টা জলে রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে রাতভর ভিজিয়ে রাখলেই কাজ হয়ে যাবে। এবার প্রতিটা আমন্ডের (Almond) খোসা ছাড়িয়ে নিন। আমন্ডের (Almond) খোসায় ট্যানিন থাকে। যা দেহে পুষ্টি শোষণ করতে বাধা দেয়। আমন্ড (Almond)এমনি খাওয়ার সময়েও খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। এবার ওই আমন্ড একটি ব্লেন্ডারে দিয়ে তার সঙ্গে সওয়া এক লিটার জল দিয়ে ব্লেন্ড করুন। এবার সেই মিশ্রণ একটি ছাঁকনির মধ্যে ছেঁকে নিলেই তৈরি আমন্ড মিল্ক (Almond Milk)।