কলকাতা: ছোটদের (child) 'ওরকম অনেক কিছু হয়।' ওদের মন-খারাপ, ভাল থাকা, খারাপ থাকা, পেট ব্যথা, মাথাব্যথা, বেশিরভাগ সময়ই তেমন কল্কে পায় না বড়দের কাছে। খুদের কথা তো! কিন্তু খুদের কথা মানে যে কথাটিও ছোট ও তার গুরুত্বও কম, এমন সব সময় নাও হতে পারে। অন্তত তেমনই বলছেন মনোবিশেষজ্ঞরা (child Psychologist)।


কী বলছেন?
গত কয়েক দিন ধরেই বাড়ির ছটফটে খুদেটা কেমন যেন মনমরা হয়ে রয়েছে। খাওয়াদাওয়াও ঠিকঠাক করছে না। বিছানাতেও খালি এপাশ-ওপাশ। আপনি হয়তো ভাবলেন, কেউ বকাবকি করেছে বা অনিচ্ছাসত্ত্বেও স্কুল যেতে হচ্ছে তাই এত কাণ্ড। এমন যে হয় না, তা নয়। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই যে বিষয়টি এরকম তা নয়। শিশু-মন নিয়ে যাঁদের চর্চা, তাঁদের কেউ কেউ বলছেন এগুলি কিন্তু অবসাদ বা অন্য কোনও ধরনের সমস্যারও উপসর্গ হতে পারে। তাই টানা একই ঘটনা ঘটতে থাকলে একেবারে অগ্রাহ্য করবেন না। সতর্ক হোন সময় থাকতেই, পরামর্শ তাঁদের।


কী পরামর্শ?
যেমন ধরুন, মাথাব্যথা বা পেটব্যথা। কম-বেশি বহু বাচ্চাই এই ধরনের সমস্যার কথা বলে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অপছন্দের পরিস্থিতি এড়াতে এই ধরনের অজুহাত তৈরি করে তারা। কিন্তু সব ক্ষেত্রে বিষয়টি এমন নাও হতে পারে। যদি কোনও শিশু টানা এই ধরনের সমস্যার কথা বলে যায় সেক্ষেত্রে আসল অসুখটি সাইকোসোম্যাটিক কিনা দেখে নেওয়া দরকার, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এমন ঘটনায় অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় সমস্যার উৎস মনের গভীরে যা শারীরিক উপসর্গের আকারে বেরিয়ে আসে। তার পর ধরুন, কোনও শিশু অতি সামান্য বিষয়ই হয়তো উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে বা ঘাবড়ে যায়। বহু ক্ষেত্রে এটি শিশুর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হতে পারে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এই ধরনের প্রতিক্রিয়া কোনও সমস্যার জানান দিয়ে যায়। তলানিতে ঠেকা আত্মবিশ্বাস, সামাজিক মেলামেশা প্রায় বন্ধ করে দেওয়া, কারও সঙ্গে কথা পারতপক্ষে না বলতে চাওয়া, আশপাশে যা ঘটছে তা নিয়ে ভয় পাওয়া, লেখাপড়ার মান ক্রমাগত পড়তে থাকা-এই সমস্ত কিছুই অশনি সঙ্কেত হতে পারে। হয়তো এর মাধ্যমে সাহায্যের আর্তি জানাচ্ছে সে।
অভিভাবক হিসেবে সেই আর্তিটুকু শুনলেই বেশিরভাগ সময়ে অনেক সমস্যা কমে আসে। বাকিটার জন্য পেশাদার সাহায্য রয়েছেই।


আরও পড়ুন:বিদ্যুতের বিল কে দেবে? বচসার জেরে বাবাকে শ্বাসরোধ করে 'খুন' ছেলের